জনতার কলম ত্রিপুরা আগরতলা প্রতিনিধি :- বিভিন্ন সময়ে আগরতলা বিমানবন্দরে আসা রাজ্যের এবং বহিঃরাজের যাত্রীদের কতিপয় অটোচালকদের হাতে হেনস্থার শিকার হতে হয়েছে। এটা খুবই অনাকাঙ্ক্ষিত এবং দুর্ভাগ্যপূর্ণ।এমন কি একইভাবে পর্যটকরাও হেনস্থার শিকার হয়েছে। বাম ঘরানার এসব অনাকাঙ্ক্ষিত বিষয় এড়াতে সংশ্লিষ্টদের নিয়ে সোমবার বিমানবন্দরে বৈঠক করেন পরিবহন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী।কতিপয় অটোচালকদের বাম ঘরানার দৌরাত্ম্যের কারণে বহিঃরাজ্য থেকে ত্রিপুরায় ভ্রমণে আসা পর্যটকরা বিভিন্ন সময় শারীরিকভাবেও লাঞ্ছনার শিকারও হয়েছেন! যেটা কোনভাবেই কাঙ্খিত নয়। এই সমস্যা থেকে উত্তরণের জন্য এবং এর চিরস্থায়ী সমাধানের জন্য সোমবার আগরতলা বিমানবন্দরের পুরনো যাত্রী টার্মিনাল ভবনের কনফারেন্স হলে প্রশাসনের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের উপস্থিতিতে এক উচ্চস্তরীয় বৈঠক করেন পরিবহন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। বৈঠকে বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন ও অটো চালকদের প্রতিনিধিদের প্রতি আহবান রাখেন ত্রিপুরা রাজ্যের সুনাম নষ্ট না করার জন্য। বৈঠকে অটো চালকদের প্রতিনিধিদের তরফ থেকে বিভিন্ন সমস্যা উত্থাপন করা হয়। মন্ত্রী তাদের এই সমস্যাগুলো সমাধানের আশ্বাস প্রদান করেন।এদিনের বৈঠকে প্রশাসনের তরফ থেকে আগরতলা বিমানবন্দরে যাত্রী পরিবহনের সাথে যুক্ত সংশ্লিষ্ট সকলকে শেষবারের মত বার্তা দিলেন , আর যাই হোক ত্রিপুরার সুনাম কোনোভাবেই ক্ষুন্ন হতে দেওয়া হবে না। নিকট ভবিষ্যতে যদি আবারো কোন ধরনের যাত্রীকে বিমানবন্দরে হেনস্থার অভিযোগ উঠে তাহলে প্রশাসন প্রশাসনের মত চলবে এবং কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী।সোমবারের এই বৈঠকে মন্ত্রী ছাড়াও অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পরিবহন ও পর্যটন দপ্তরের সচিব উত্তম কুমার চাকমা, পরিবহন দপ্তরের কমিশনার সুব্রত চৌধুরী, আগরতলা বিমানবন্দরের অধিকর্তা কৈলাস চন্দ্র মীণা, ত্রিপুরা পুলিশের আইজি ক্রাইম ও ইন্টিলিজেন্স এল.ডার্লং , পর্যটন দপ্তরের অধিকর্তা তপন কুমার দাস, বিমানবন্দরের নিরাপত্তার সাথে সম্পৃক্ত সি.আই.এস.এফ এর মেজর ধর্মেন্দ্র সাঁই সহ আরো অনেকে।
Leave a Comment