জনতার কলম ত্রিপুরা আগরতলা প্রতিনিধি :-মঙ্গলবার ১০মজলিশপুর বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত কৃষ্ণটালিতে স্থানীয় এলাকাবাসীর সম্মিলিত উদ্যোগে ব্রহ্মা-শীতলা-কালীপুজো উপলক্ষে আয়োজিত হয় এক স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবিরে। এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এলাকার বিধায়ক সুশান্ত চৌধুরী। এদিন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী মঙ্গলদীপ প্রজ্জ্বলন করে আয়োজিত রক্তদান শিবিরের শুভ উদ্বোধন করেন। এদিন মন্ত্রী বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন কোনো মানুষের বিপদে তাঁর পাশে দাঁড়ানো ও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া একজন আদর্শ মানুষের পরিচয়। প্রতি মুহূর্তে একবিন্দু রক্তের জন্য জীবনযুদ্ধে পরাজিত হচ্ছে কতশত মানুষ, এটা আমাদের কোনোভাবেই কাম্য নয়। তাছাড়া এদিন তিনি আরো বলেন স্বেচ্ছায় রক্তদান করার মধ্য দিয়ে আমরা অনেক মুমূর্ষু প্রাণ বাঁচাতে পারি। আমাদের স্বেচ্ছায় রক্তদানের বিনিময়ে একজন মুমূর্ষু মানুষের প্রাণ বাঁচানো সম্ভব। আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানে অনেক অসাধ্যসাধন ঘটলেও কৃত্রিম উপায়ে রক্ত আবিষ্কার এখনও হয়নি । ফলে যে সমস্ত রোগীর কোনো কারণে অতিরিক্ত রক্তের প্রয়োজন হয়, তখন সেই রক্ত সুস্থ মানুষের শরীর থেকেই সংগ্রহ করতে হয়। এইজন্য রক্তদান একটি মহৎ দান বলে বিবেচ্য। পাশাপাশি বর্তমানে সরকারি রক্তভাণ্ডারে সংরক্ষিত রক্তের পরিমাণ চাহিদার তুলনায় অনেক কম মজুত আছে। বেসরকারীভাবে রক্ত কিনতে প্রচুর পয়সা লাগে। তাছাড়া রোগজীবাণু সংক্রমিত হওয়ার ভয় থাকে। সেই কারণে আমাদের সবাইকে উদ্যোগ নিয়ে নিয়মিতভাবে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করতে হবে এবং সভ্যতার পারস্পরিক নির্ভরশীলতার কর্তব্যমূলক কর্মসূচিগুলির মধ্যে সম্ভবত সবচেয়ে মহৎ এবং পবিত্র কাজটি হলো মানুষের জীবন বাঁচানো। কিন্তু প্রত্যক্ষভাবে আমাদের পক্ষে কোন মুমূর্ষু মানুষের জীবন রক্ষা করা সবসময় সম্ভব হয়ে ওঠেনা। তাই এক্ষেত্রে সম্ভবত সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য এবং গুরুত্বপূর্ণ কাজটি হতে পারে রক্তদান বলে জানান তিনি। বলা চলে প্রতিবছর বহু মানুষ কেবলমাত্র রক্তের অভাবে মারা যায়। তাই মানব দেহের অতি সামান্য পরিমাণ রক্তের বিনিময়ে যদি মানুষের জীবন রক্ষায় সক্ষম হওয়া যায় তাহলে সেটা হবে সভ্য মানব জীবনের পরম সার্থকতা।