জনতার কলম ত্রিপুরা আগরতলা প্রতিনিধি :- মুখ্যমন্ত্রীর আহ্বানে সাড়া দিয়ে গোটা রাজ্যব্যাপী চলছে রক্তদান উৎসব। রক্তদানে এখন স্বতঃস্ফূর্তভাবে এগিয়ে আসছে রাজ্যের মহিলারা।বর্তমান সমাজ ব্যবস্থায় নারীরা কোন দিক দিয়েই পিছিয়ে নেই। কর্ম ক্ষেত্রেই হোক কিংবা সামাজিক ক্ষেত্রেই হোক না কেন। প্রতিটি ক্ষেত্রেই পুরুষদের সাথে পাল্লা দিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাবার চেষ্টা করছেন এখন নারীরা। তা এর মধ্যেই বহুবার প্রমাণিত। নিজেদের পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি সামাজিক কর্মকাণ্ডেও নিজেদের যুক্ত করার প্রবণতা রাজ্যে বাড়ছে মহিলাদের। তা যেন আবারও প্রত্যক্ষ করা গেল আগরতলা গভমেন্ট মেডিকেল কলেজে।নির্বাচনের কারণে রাজ্যের ব্লাড ব্যাংক গুলিতে রক্তের সংকট দেখা দেওয়ায় ব্যাহত হচ্ছিল মুমূর্ষু রোগীদের চিকিৎসা পরিষেবা।যা নিয়ে অনেকটা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিলেন স্বাস্থ্যপরিসেবার কাজে নিযুক্ত চিকিৎসক ও চিকিৎসা কর্মীরা। তাই ব্লাড ব্যাংকের রক্তের স্বল্পতা দূরীকরণের জন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডক্টর মানিক সাহা বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সামাজিক সংগঠন গুলির প্রতি আহ্বান রাখেন স্বেচ্ছায় রক্তদানে এগিয়ে আসার। আর মুখ্যমন্ত্রীর এই আহ্বানে সাড়া দিয়ে রাজ্যে এমুহূর্তে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন রাজনৈতিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের উদ্যোগে চলছে স্বেচ্ছা রক্তদান শিবির। খানিকটা দেরিতে হলেও সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনগুলি মহতী এই কর্মসূচিতে সামিল হওয়ায় অনেকটাই যেন স্বস্তি। প্রায় প্রতিদিনই চলছে এখন রক্তদানের উৎসব। আর এই উৎসবে এবার নিজেদের যুক্ত করল সামাজিক সংস্থা শ্রেষ্ঠ ভুবন। শ্রেষ্ঠ ভুবনের উদ্যোগে শনিবার আগরতলা গভমেন্ট মেডিকেল কলেজে আয়োজন করা হয় এক সেচ্ছা রক্তদান শিবির। মহতি এই কর্মসূচিতে রক্তদাতাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যায় ছিলেন মহিলারা। যা অনেকটাই যেন প্রমাণ করে মানবিকতার নিদর্শন স্বরূপ এধরনের কাজেও পিছিয়ে নেই মহিলারা। তাই শ্রেষ্ঠ ভুবন আয়োজিত মহতি এই কর্মসূচিতে শামিল হওয়া মহিলা সহ অন্যান্য রক্তদাতাদের উৎসাহিত করতে আমন্ত্রিত হয়ে শিবিরে ছুটে গেলেন সদ্য সমাপ্ত বিধানসভা নির্বাচনে ছয় আগরতলা কেন্দ্রের পরাজিত প্রার্থী তথা প্রদেশ বিজেপি সাধারণ সম্পাদিকা পাপিয়া দত্ত, বিজেপি নেতা সুবল ভৌমিক, প্রকাশ দাস সহ আরো অনেকে।এধরনের কর্মসূচি আয়োজনের জন্য এদিন শ্রেষ্ঠ ভূবন সামাজিক সংস্থার কর্মকর্তাদের অভিনন্দন জানান পাপিয়া দত্ত। রক্তদান রাজ্যে বর্তমানে উৎসবে পরিণত হয়েছে। গোটা রাজ্যব্যাপী চলছে এই উৎসব। শামিল হচ্ছে সমাজের সকল অংশের মানুষ।