জনতার কলম ত্রিপুরা আগরতলা প্রতিনিধি :- বিদ্যালয় নয় যেন বাগান বাড়ি। কর্তব্য নিষ্ঠা ও উচ্চ মানসিকতার প্রকৃষ্ট নিদর্শন রেখেছে আসামের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। কোমলমতি শিশুরা ফুলের সাথে খেলা করে। বিদ্যালয় নয় যেন এটি বাগান বাড়ি। নানা জাতের ফুল ও ফলের গাছ রয়েছে বিদ্যালয়ে। চারিদিকে পরিচ্ছন্নতা, ছাত্র ছাত্রীদের খেলাধুলা ও বাইরে বসার জন্য ব্যবস্থা রয়েছে । একজন প্রধানশিক্ষক চাইলে বিদ্যালয়ের চেহারা পরিবর্তন করে দিতে পারেন। এমন স্কুল রয়েছে অসম ত্রিপুরা সিমান্ত এলাকার সারজুল গ্রামে। ৩০৭ নং সারজুল প্রাথমিক বিদ্যালয়টি স্থাপিত হয়েছিল ১৯৪৭ সালে। সিমান্ত এলাকার এই স্কুলটি অসমের পাথারকান্দি শিক্ষাখন্ডের অন্তর্গত। তিন বছর আগে হুজাই থেকে বদলি হয়ে এই স্কুলে আসেন তরুণ এক প্রধান শিক্ষক। তিনি স্কুলের চারিদিকে ফুলের বাগান করেন, স্কুলের দেওয়ালে নানা রকমের শিক্ষামূলক চিত্রের পাশাপাশি ক্লাসরুম ও সুন্দর করে সাজিয়ে তুলেছেন। রান্নার ঘর থেকে শৌচালয় পরিস্কার পরিচ্ছন্ন। রবিবার ছুটির দিনেও স্কুলের সাফাইয়ের কাজে থাকেন প্রধান শিক্ষক। সিসি ক্যামেরা থেকে শুরু করে সবরকমের সুবিধা আছে এই স্কুলে। ভাবাই যায় না এটি একটি সরকারি স্কুল। প্রধান শিক্ষক সন্তোষ দেবনাথ জানালেন সরকারি অর্থের পাশাপাশি তার ব্যক্তিগত অর্থ যোগ করে তিনি এই কাজ করেছেন।নিজের বিদ্যালয় সুন্দর রাখতে তার এই উদ্যোগ। অবশ্য এই স্কুলটির ছবি ইতিমধ্যে নেটপাড়ায় ঘুরছে। নেটিজনরা মন্তব্য করছেন সরকারি স্কুলেও এরকমের কিছু হয়। সত্যিই প্রধানশিক্ষকের ভুমিকা প্রশংসনীয়। পার্শ্ববর্তী রাজ্যের একটি সরকারি বিদ্যালয়ের এরকম সুদৃশ্য দেখে নিশ্চয়ই অনুপ্রাণিত হবে এই রাজ্যের শিক্ষক ও শিক্ষানুরাগীরা। কর্তব্য নিশ্চয়ই তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।