জনতার কলম ত্রিপুরা আগরতলা প্রতিনিধি :- গত ৫০ বছরে কংগ্রেস আর সিপিআইএম ত্রিপুরার উন্নয়ন স্তব্ধ করে অনেক পিছিয়ে নিয়েছে। গত পাঁচ বছরে বিজেপি ডাবল ইঞ্জিন সরকার ত্রিপুরার বিকাশ অনেকগুণ তরান্বিত করেছে। আগামী দিনে ত্রিপুরা হবে উত্তর-পূর্বের গেটওয়ে। বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ২০২৩ বিধানসভা নির্বাচনে প্রথমবারের মতো ভোট প্রচারে এসে আম বাসায় ঝড় তুললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ধলাই জেলার বিজেপি আইপিএফটি প্রার্থীদের সমর্থনে আয়োজিত জনসভায় এদিন জনজাতিদের উপস্থিতিতে ময়দানে তিল ধারণের ক্ষমতা ছিল না। বিশাল সংখ্যক জনজাতিদের উপস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কার্যত আপ্লুত হয়ে পড়েন জনজাতিদের উদ্দেশ্যে বক্তৃতার প্রথমেই বলেন, আমার প্রিয় উপজাতি ভাই বোনেরা যতনি খুলুমখা। প্রধানমন্ত্রী বাংলা ও ককবরক দুটি ভাষাতেই সম্বোধন করেছেন জাতি উপজাতি অংশের মানুষদের। এদিন বক্তৃতার প্রথমেই তীব্র আক্রমণ করেন কংগ্রেস সিপিআইএম জোটকে। বলেন কংগ্রেস সিপিআইএমের শাসনে গত ৫০ বছর অনেক যোজন পিছিয়ে গিয়েছিল ত্রিপুরা রাজ্য। কত পাঁচ বছরে এই রাজ্যকে ঘুরে দাঁড় করিয়েছে ভাজপা।প্রধানমন্ত্রী বলেন প্রথমে ত্রিপুরাকে সিপিআইএম চান্দার রাজ্যে পরিণত করেছিল। ঘর তৈরি করলে চান্দা, গাড়ি কিনলে চান্দা, সরকারি নক্রি পেলে চান্দা, সর্বত্রই শুরু হয়েছিল চান্দার রাজনীতি।বর্তমান রাজ্যবাসী ভাজপার দৌলতে চান্দার রাজনীতি থেকে মুক্তি পেয়েছে। সিপিআইএমকে তীব্র কটাক্ষ করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, প্রথমে ত্রিপুরাতে এক পার্টি ছিল, যারা আজকে গণতন্ত্রের দোহাই দিচ্ছে তাদের সময়ে যেই বাড়িতে বিরোধীদলের ঝান্ডা তুলেছিল সেই বাড়িটি জ্বালিয়ে দিয়েছিল, তাদের মুখে আজকে গণতন্ত্রের কথা। প্রধানমন্ত্রী বলেন প্রথমে ত্রিপুরাতে শুধু বামপন্থী ক্যাডারদের সরকারি যোজনার সুবিধা মিলতো, বর্তমানে ত্রিপুরায় বামপন্থী ক্যাডাররাজের ধ্বংস হয়েছে। এখন সবাই সরকারি সুযোগ সুবিধা পাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী ত্রিপুরার বিকাশে ফের একবার বিজেপি ও তার সহযোগী আইপিএফটি দলের প্রার্থীদের বিপুল ভোটে জয়ী করার জন্য আহ্বান রাখেন সাধারণ ভোটারদের প্রতি। উপজাতিদের বিকাশ নিয়েও এদিন প্রধানমন্ত্রীর মুখে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রতিশ্রুতির কথা শোনা যায়। আমবাসার জনসভায় এদিন কার্যত জনঢল নামিয়ে এনেছিল জনজাতি অংশের নারী পুরুষেরা। তাদের প্রত্যেকের চোখে মুখে এদিন নতুন ত্রিপুরা গড়ার স্বপ্ন যেন ভেসে উঠেছিল।