আবারও বকেয়া মজুরি চাইতে গিয়ে প্রতারণার শিকার শ্রমিকরা। ঘটনা মঙ্গলবার উদয়পুর রাজবাড়ী এলাকায়। অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরে একটি বেসরকারি কোম্পানিতে কাজ করে কাজের মুজুরি পাচ্ছে না শ্রমিকরা l মজুরি প্রদান নিয়ে প্রতিনিয়ত তালবাহানার অভিযোগ উঠেছে সংশ্লিষ্ট বেসরকারি সংস্থার বিরুদ্ধে l এরই প্রতিবাদে মঙ্গলবার ফের শ্রমিকরা সকাল সাড়ে আটটা থেকে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। বিক্ষোভের খবর পেয়ে উদয়পুর মহকুমা পুলিশ আধিকারিক ধ্রুব নাথ এবং উদয়পুর রাধাকিশোরপুর থানার ওসি দেবাশীষ সাহা ঘটনাস্থলে পৌছে বিক্ষুব্ধ শ্রমিক ও ঐ বেসরকারী কোম্পানির উর্ধতন কতৃপক্ষের সাথে কথা বলে আগামী 2 রা জুন শ্রমিক দের সমস্ত বকেয়া মজুরি প্রদানের আশ্বাস দিলে বিক্ষোভ প্রত্যাহার করেন শ্রমিকরা। শ্রমিক দের দাবি , দীর্ঘ তিন বছর ধরে , অনন্ত জিও সার্ভিসেস কোম্পানি লিমিটেডের অধীন ও এন জি সি র কেবল অপারেটর , সার্ভেয়ার সহ নানা কাজের সাথে যুক্ত l চলতি বছরও জানুয়ারি মাসের কাজের মুজুরি শ্রমিকরা পেয়ে গেছে l কিন্তু ফেব্রুয়ারী মাসের মজুরি কেহই পায়নি l তারা ওই মাসে পঁচিশ দিন কাজ করেছে l এর পর কাজ বন্ধ l এই সময়ের মুজুরি হিসেবে প্রত্যেক শ্রমিকের বকেয়া মজুরী ৯, ৩২৫ টাকা l এরকম আটশত শ্রমিক কাজ করেছিল l সবাই ন্যায্য মজুরি থেকে বঞ্চিত l মার্চ মাসের সতেরো তারিখ মজুরির টাকা দেবে বলে নোটিস করেছে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের কর্ম কর্তা l ওই কোম্পানির জেনেরাল ম্যানেজার সঞ্জয় শর্মা বেশ কয়েক বার তারিখ দিয়েছে l এর পর লক ডাউন পরে যায় l চার এপ্রিল এবং 18 মে তারিখ দেয় l কিন্তু আজ মজুরির টাকা নিতে এলে আবার সেই গল্পঃ l এখন টাকা নেই l লক ডাউন শেষ হলে মজুরি দেওয়া হবে l এমন সময় , শ্রমিকদের আশঙ্কা তাঁদের বকেয়া মজুরি নিয়ে টালবাহানা চলছে l কেন তারা এরকম করছে ? শ্রমিকদের মধ্যে চাপা ক্ষুভ দেখা দিয়েছে l এর আগেও বেশ কয়েকবার বঞ্চিত শ্রমিকরা তাঁদের ন্যায্য মজুরি আদায়ের জন্য বর্তমান রাজবাড়ী এলাকার তাঁদের অফিসে এসেছিলো l তখন কোন কর্ণপাত করেনি ওই বেসরকারি সংস্থা l আজ একই অবস্থা l এমনিতেই লক ডাউনে শ্রমিকদের আর্থিক অবস্থা খুবই করুন l তাঁর উপর কাজ করে কাজের মজুরী পাচ্ছেনা দীর্ঘ তিন মাস হয়ে গেছে l একের পর এক তারিখ দেওয়া হচ্ছে। মঙ্গলবার কতৃপক্ষের তরফে দেওয়া মজুরি প্রদানের তারিখে সমস্ত শ্রমিক রা বকেয়া মজুরি নিতে আসলে কতৃপক্ষের কোনও হেলদোল নেই। যার ফলে প্রতারিত হয়ে শ্রমিক রা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করলে খবর পেয়ে মহকুমা পুলিশ আধিকারিক ও রাধাকিশোরপুর থানার ওসির নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে শ্রমিক ও বেসরকারি কোম্পানির উর্ধতন কতৃপক্ষের সাথে কথা বলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এরপরও যদি 2 রা জুন শ্রমিক দের ব্যাঙ্ক একাউন্টে বকেয়া মজুরি না ঢুকে তাইলে মহকুমা পুলিশ আধিকারিক এবং রাধাকিশোরপুর থানার পুলিশ এর সাথে যোগাযোগ করার জন্য ঐদিন শ্রমিক দের বলা হয়েছে। এদিকে কিছুদিন পর পর বকেয়া মজুরির দাবীতে শ্রমিক বিক্ষোভের ঘটনায় গোটা এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। এদিকে কোম্পানির তরফে কিছু শ্রমিক কে বকেয়া মজুরি প্রদান করা হয়েছে বলা হলেও বেশ কয়েকজন শ্রমিক ব্যাঙ্ক একাউন্টে চেক করে জানতে পারেন কোনও টাকাই তাদের একাউন্টে ঢুকে নি।
Leave a Comment