জনতার কলম ত্রিপুরা আগরতলা প্রতিনিধি :- রাস্তায় কংগ্রেসের মিছিল। আটকে পড়েছিল টেট পরীক্ষার্থীরা। প্রায় ৫ মিনিট লেট হয়ে যাওয়ায় পরীক্ষায় বসতে পারলো না ৫-৬ জন পরীক্ষার্থী। উত্তেজনা কামিনীকুমার বিদ্যালয়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ডাকতে হয়েছে পুলিশকে। জীবনের চূড়ান্ত পরীক্ষায়ও লেট করে ফেলল ৬ মিনিট। ফলে অনেকেই হয়তো আর বসতে পারবে না টেট পরীক্ষায়। শেষ সুযোগটুকু হয়ে গেল হাতছাড়া। একেই বলে সময় এর নিয়মাবর্তিতা। কথায় আছে সময়কে যারা অবহেলা করে, তাদেরকেউ অবহেলা করে সময় , সময় যখন কোন কাজ করা যায় না , তখন আর কোন অজুহাতই টিকেনা। বৃহস্পতিবার রাজধানীর কামিনীকুমার বিদ্যালয় পরীক্ষা দিতে আসা টেট পরীক্ষার্থীদের মধ্যে জনা পাঁচেক পরীক্ষার্থীর ভাগ্যে দেখা গেল সেই বিড়ম্বনা। যদিও তাদের যুক্তি কংগ্রেসের মিছিলের জন্য আটকে পড়েছিল রাস্তায়। কিন্তু সেই অজুহাতে মানতে নারাজ পরীক্ষক। কেননা সেওতো বাধা নিয়মাবর্তিতার কাছে। পরীক্ষা না দিতে পেরে এক পরীক্ষার্থী জানালো তার আক্ষেপের কথা।এদিকে বাবা মেয়েকে নিয়ে এসেছিল পরীক্ষাকেন্দ্রে। তাও এক মিনিট লেট , অজুহাত সবাইয়ের ঘড়ির সময় সমান নয় , কে শুনবে কার কথা , পরীক্ষক যে বাধা সেই নিয়মাবর্তিতার কাছে। তারপরেও বাবার আক্ষেপ একটু সহানুভূতি কি পেতে পারে না মানুষ। একসময় পরীক্ষার্থীদের অনুনয়-বিনয় না শোনার জন্য পরীক্ষক পরীক্ষার্থীদের মধ্যে দেখা দেয় তীব্র উত্তেজনা। উপায়ান্তর না দেখে ডাকতে হয়েছিল পুলিশকে। পুলিশ গিয়ে ঘটনা আয়ত্তে নিয়ে আসে। আর পরীক্ষা দেওয়া হলো না দেরিতে আসা পরীক্ষার্থীদের। বিফল মনোরথেই ফিরে যেতে হল বাড়িতে। কেউ হয়তো আরেকবার বসতে পারবে পরীক্ষায় , আবার কারো হয়তো বয়স উত্তীর্ণ হয় যাবে। তবে এটাকেই বলে সময় এর নিয়মাবর্তিতা।