জনতার কলম ত্রিপুরা আগরতলা প্রতিনিধি :- রাজ্যে ভালো কাজের জন্য টাকার কোন অভাব নেই। জরুরী পরিষেবা কাজে নিয়োজিত কর্মচারীদের শুধু প্রশিক্ষিত করলেই চলবে না কোথায় কোথায় তাদের ঘাটতি রয়েছে সে বিষয়গুলো খতিয়ে দেখতে হবে। বললেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডা : মানিক সাহা। এই প্রথম রাজ্যে খোলা হল ফায়ার এন্ড ইমার্জেন্সি সার্ভিসেস- এর ট্রেনিং স্কুল। যার মাধ্যমে অগ্নিনির্বাপক ও জরুরী পরিষেবা বিষয়ক সমস্ত কর্মীরা প্রশিক্ষণ গ্রহণ করবে। যাতে করে মানুষের জীবন রক্ষার পাশাপাশি নিজেরাও সুরক্ষিত থাকতে পারে। সেই বিষয়ই মূলত এই স্কুলে ফিজিক্যালি এবং পুঁথিগত শিক্ষা দেওয়া হবে। সোমবার বাধারঘাট এ তৈরি এই ট্রেনিং স্কুলের অনুষ্ঠানের সূচনা করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডা : মানিক সাহা। শ্রী সাহা বলেন, ইমারজেন্সি ও ফায়ার কর্মীদের প্রশিক্ষণের পাশাপাশি তাদের কি কি খামতি রয়েছে সে বিষয় গুলোর উপরও দফতরকে নজর দিতে হবে।অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে দমকল ও জরুরী পরিষেবা বিষয়ক দপ্তরের মন্ত্রী রামপ্রসাদ পাল বলেন , দপ্তরকে কিভাবে আরও অত্যাধুনিক টেকনোলজি দিয়ে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায় সেই বিষয়ে চিন্তা ভাবনা করছে সরকার।পাশাপাশি কর্মীদের সুরক্ষার বিষয়টিও দফতর গুরুত্ব সহকারে আরও উন্নততর করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এদিনের অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এলাকার বিধায়িকা মিমি মজুমদার অগ্নিনির্বাপক জরুরী পরিষেবা বিষয়ক দপ্তরের প্রকাশিত প্রতিবেদনের ভূয়শী প্রশংসা করেছেন। প্রসঙ্গত প্রায় ৩কোটি ১৮ লক্ষ টাকা ব্যয়ে নির্মিত অত্যাধুনিক সর্বসুবিধাযুক্ত এই প্রশিক্ষণ কেন্দ্র অত্র অঞ্চলের জনকল্যাণে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। অনুষ্ঠানে বিগত সাড়ে চার বছরে অগ্নিনির্বাপক দপ্তরের সাফল্য নিয়ে বর্ণিত একটি বুকলেটের আবরন উন্মোচন করেছে মুখ্যমন্ত্রী। এছাড়াও সম্প্রতি সাব্রুমে একটি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিজেদের কর্তব্য পালনের সময় আহত হয়েছিলেন অগ্নিনির্বাপক দপ্তরের তিন কর্মী দেবাশিস শীল, দিলীপ ত্রিপুরা এবং বাবুল মিয়া। বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তারা। এদিন বাধারঘাটস্থিত অগ্নিনির্বাপক দপ্তরের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের নতুন ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে, এই তিনজন দমকল কর্মীকে তাদের প্রশংসনীয় কাজের জন্য সন্মাননা প্রদান করা হয়। ফায়ারম্যান দেবাশীষ শীলের সহধর্মিণী এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে পুরস্কার এবং সার্টিফিকেট গ্রহণ করেন।মুখ্যমন্ত্রী বলেন,নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে, অন্যদের জীবন এবং সম্পত্তি রক্ষার ক্ষেত্রে অগ্নিনির্বাপক দপ্তরের কর্মীদের এই সাহসী কাজকে আমি কুর্নিশ জানাই।