Site icon janatar kalam

দুর্যোগ মোকাবেলায় সম্পূর্ণ প্রস্তুত রাজ্য বহি:রাজ্য থেকে আনা হয়েছে এনডিআরএফ

জনতার কলম ত্রিপুরা আগরতলা প্রতিনিধি :- দুর্যোগ মোকাবেলায় সম্পূর্ণ প্রস্তুত রয়েছে রাজ্য।বহি রাজ্য থেকে আনা হয়েছে এনডিআরএফ। কলকাতা হয়ে ভোররাত্রে গিয়ে বসবে বাংলাদেশের বরিশালে। ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। আজ দুপুরের মধ্যে এটি শক্তি বাড়িয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় হিসেবেই আজ মধ্য রাতের পর এটি বাংলাদেশে আছ পড়তে পারে। সাগর দ্বীপের ৪৩০ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং বরিশালের ৫৮০ কিমি দক্ষিণে ল্যাটিচিউড 17.80N এবং 88.60E অবস্থান করছে ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’। আগামী ১২ ঘণ্টার মধ্যে এটি আরও তীব্র হয়ে ওঠার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এরপর আগামিকাল মঙ্গলবার অর্থাৎ ২৫ অক্টোবর ভোরে বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করবে এই ঘূর্ণিঝড় এমনটাই পূর্বাভাস আবহাওয়া দফতরের। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। এর প্রভাবে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার শুরু দক্ষিণবঙ্গে। বুধবার সকাল পর্যন্ত দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া। সুন্দরবন এলাকা সবথেকে বেশি প্রভাব পড়বে। সোমবার মধ্যরাতের পর থেকে মঙ্গলবার সকালের মধ্যে বাংলাদেশের বরিশালের কাছে তিনকোনা আইল্যান্ড ও সন্দীপের মাঝে ল্যান্ডফল করবে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং। ল্যান্ডফলের সময় এই ঘূর্ণিঝড় শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় হিসেবে পরিণত হবে এর গতিবেগ ঘন্টায় ১০০ থেকে ১১০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টায় থাকতে পারে। সবথেকে বেশি প্রভাব পড়বে, উত্তর ২৪ পরগনা ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার উপকূল এলাকায়। আংশিক প্রভাব পড়বে পূর্ব মেদিনীপুরের কিছু অংশে। সামান্য প্রভাব পড়বে কলকাতা হাওড়া হুগলি, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর ও নদিয়ার কিছু অংশে। দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই মঙ্গলবার পর্যন্ত হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি আংশিক মেঘলা আকাশ। সোমবার উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা। সঙ্গে ৯০ কিলোমিটার গতি বেগে দমকা ঝড়ো হওয়া বইতে পারে। ৭০ থেকে ৯০ কিলোমিটার বেগে দমকা হাওয়া বইবে পূর্ব মেদিনীপুরের উপকূলের অংশে। ভারী বৃষ্টি হবে কলকাতা হাওড়া হুগলি পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরে পূর্ব মেদিনীপুরে। পূর্ব মেদিনীপুর ছাড়া বাকি সব জেলাতেই দমকা ঝড়ো হাওয়া সর্বোচ্চ ৪০ থেকে ৬০ কিলোমিটার হতে পারে। মঙ্গলবার ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং নদীয়াতে মাঝারি মাপের বৃষ্টি হবে মুর্শিদাবাদ জেলায়।যদিও এই ঝোড়ো হাওয়া দুপুরের পর থেকে কমতে থাকবে। কলকাতা হাওড়া হুগলি এবং পশ্চিম মেদিনীপুরে ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার গতিবেগে দমকা ঝড়ো হাওয়া বইবার পূর্বাভাস।কলকাতাতেও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। বুধবার সকাল পর্যন্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা বেশি। সোমবার ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার সর্বোচ্চ ৫০ কিলোমিটার গতিবেগে আর মঙ্গলবার ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার গতিবেগে দমকা ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে কলকাতা হাওড়া হুগলি ঝাড়গ্রাম ও পশ্চিম মেদিনীপুরে।মৎস্যজীবীদের জন্য সতর্কবার্তা মঙ্গলবার পর্যন্ত সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। সমুদ্রে জলোচ্ছ্বাস হতে পারে। ৬ মিটার উঁচু জলোচ্ছ্বাস। সোম ও মঙ্গলবার সেই কারণে দুই চব্বিশ পরগণায় বাঁধের ক্ষতি হতে পারে।পর্যটকদের সতর্ক করা হয়েছে। সমুদ্র তীরবর্তী সমস্ত বিনোদনমূলক রাইড বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দুই ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুরের সমস্ত ফেরি চলাচল শ্রম ও মঙ্গলবার বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এদিকে ত্রিপুরায় গতকাল রাত্রে থেকেই জোর বাতাস ও হালকা বৃষ্টি চলছে। সোমবার সকাল থেকে চলছে টানা বৃষ্টি। গোটা রাজ্যেই একটা থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। রাস্তায় লোকজন চলাচল প্রায় নেই বললেই চলে। দিনভর গৃহবন্দি রয়েছে সাধারণ মানুষ। দুর্যোগ মোকাবেলায় বহি রাজ্য থেকে 119 জন এনডিআরএফ কর্মীরা হয়েছে বিমানে উড়িয়ে। রাজ্য প্রশাসন পুরোদমে প্রস্তুত রয়েছে দুর্যোগ মোকাবেলায়।

Exit mobile version