Site icon janatar kalam

ঘর জুটেনি হতভাগ্যদের কপালে শুধু একটি ঘরের জন্য সরকারের মুখাপেক্ষী… বিস্তারিত পড়ুন

জনতার কলম ত্রিপুরা আগরতলা প্রতিনিধি :- শহরে বিত্তবানরা যখন প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার সুবিধাভোগী তখন গ্রামের নুন আনতে পান্তা ফুরায় পরিবারগুলি শুধু একটি ঘরের জন্য সরকারের মুখাপেক্ষী। কবে ভাগ্য ফিরবে নুরজাহানদের। দেখুন টাইমস টোয়েন্টিফোর নেটওয়ার্কের বিশেষ প্রতিবেদন। ভোট আসে ভোট যায় কিন্তু ভাগ্য বদলায় না বিশালগড় রঘুনাথপুর পঞ্চায়েতের নোয়াপাড়া এলাকার বাসিন্দা নূরজাহান বেগম এবং জুয়েল আলমের।জানা গেছে দীর্ঘদিন ধরেই খুব কষ্টে দিনযাপন করছে জুয়েল এবং নূরজাহান তার ছেলে মেয়েদের নিয়ে।দুজনেই শারীরিকভাবে অসুস্থ।অন্যদিকে সংসারের নুন আনতে পান্তা ফুরানোর মত অবস্থা। গত বর্ষায় কত রাত না ঘুমিয়ে জরাজীর্ণ ঘরের বারান্দায় সন্তানদের আঁকড়ে ধরে রাত কাটাতে হয়েছে তার কোন হিসেব নেই।দরিদ্র হয়ে জন্মানোই কি অপরাধ কিনা তা ঠিক বুঝে উঠতে পারছেনা নূরজাহান এবং জুয়েল।রাজনৈতিক জনসভার মাইকে নেতারা সাধারণ মানুষের জন্য কি কি করেছে,সমাজের অন্তিম ব্যক্তি পর্যন্ত সরকারি সুবিধা কিভাবে পৌঁছে দিয়েছে তা প্রায়শই নূরজাহানের কানে ভেসে আসে কিন্তু বাস্তবে এইসব কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য সরকারের প্রকল্পের ছিঁটেফোটাও তার ঘরে পৌঁছায়নি। দিনের পর দিন মিলেছে শুধুই আশ্বাস আর হয়রানি।তার এই জরাজীর্ণ ঘরের চাল বেঁধ করে পূর্ণিমার রাতে চাঁদের আলো সরাসরি ঘরকে আলোকিত করে তোলে।ফলে বিদ্যুৎ বিল না আসতেও বর্ষার বৃষ্টির জল আটকানোর মতো কোনো উপায় নেই তাদের কাছে।রাজ্য সরকার প্রথম দফায় সারা রাজ্যে দেড়লক্ষ ঘর প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় সৌভাগ্যদের প্রদানের পর দ্বিতীয় দফায় আরো ৩০ হাজার ঘরের সংস্থান করে যা গত এক সপ্তাহ আগে বেনিফিসারীদের নাম প্রকাশ করা হয়েছে।নূরজাহান এবং জুয়েলের আশা ছিল দ্বিতীয় দফায় তাদের কপালে কিছু একটা জুটতে পারে।কিন্তু ভাগ্যের কি পরিহাস এবারও তাদের খালি হাতেই বাড়ি ফিরতে হয়েছে।ফলে শুক্রবার সাংবাদিকদের সামনে নূরজাহান তার জীবনের ইতিবৃত্তান্ত শোনাতে গিয়ে এখন তার কাছে মৃত্যু ছাড়া আর কোনও পথ খোলা নেই বলেও জানান। প্রশ্ন উঠছে মুখ্যমন্ত্রীর ছবি সাঁটানো সুশাসন বিজ্ঞাপনের কথা নিয়ে। বিজ্ঞাপন কি শুধু পত্রিকায় শোভা পাচ্ছে না বাস্তবে কিছু কাজ হচ্ছে সেটাই এখন বিচার্য।

Exit mobile version