জনতার কলম ত্রিপুরা আগরতলা প্রতিনিধি :-
শুরু হয়েছে প্রদেশ বিজেপি ওয়ার্কিং কমিটি চিন্তন বৈঠক। মূলত ২০২৩ বিধানসভা নির্বাচনের রণকৌশল তৈরি করা হবে এই বৈঠক থেকেই.।তৈরি করা হবে ৬০ টি বিধানসভা কেন্দ্রের সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকা। যাদেরকে মোটামুটি যেই কেন্দ্রের প্রার্থী হিসেবে চিহ্নিত করা হবে তাদেরকে এখন থেকেই ওই কেন্দ্রে মাঠে ঝাঁপিয়ে পড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিজেপি সূত্রে খবর , এই মুহূর্তে দল শুধুমাত্র সরকারের উন্নয়নমূলক প্রকল্প গুলি প্রচারে নিয়ে যাবে। ত্রিপুরা উপজাতি স্ব-শাসিত জেলা পরিষদের উন্নয়নেও নেওয়া হয়েছে একগুচ্ছ কর্মসূচি। যদিও এই মুহূর্তে সরকারের হাতে আর সময় নেই নতুন করে কোনো উন্নয়ন কাজ সম্পন্ন করা। দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে ভাবাচ্ছে প্রদ্যুৎ কিশোরের তিপরা মথা। কেননা পাহাড়ের কুড়িটি উপজাতি সংরক্ষিত আসনের মধ্যে দু-একটি কেন্দ্র ছাড়া বাকি সবগুলি কেন্দ্র প্রদ্যুৎ কিশোরের করায়ত্তে রয়েছে। বর্তমানে 15 টি আসন রয়েছে সিপিআইএমের দখলে। ইতিমধ্যেই চারটি আসনে বিজেপির বিধায়করা পদত্যাগ করে অন্য দলের সঙ্গে চলে গেছে। তার মধ্যে দলের ভিতরে রয়েছে সংস্কারপন্থীরা। দ্বিতীয় মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণের পর বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের অভাব ছিল হয়তো সংস্কারপন্থীরা মুছে গেছে। কিন্তু না, কৃষ্ণনগরের বিজেপির বাড়িতে কান পাতলেই সংস্কারপন্থীদের গুনগুন আওয়াজ শোনা যাচ্ছে। আদি বিজেপি বলে আবার কেউ কেউ নিজেদেরকে দাবি করছে। প্রশ্ন হচ্ছে বিজেপি নেতারা একবারও ভাবলে না আদতে ত্রিপুরায় বিজেপি কারা। আদি বিজেপি বা ত্রিপুরা তে কতজন ছিল। হাতে গুনা জনা 25 আদি বিজেপি বাদ দিলে বাকি সবাই কিন্তু দীর্ঘ 25 বছর কংগ্রেস করেছিল। কিছু কিছু দলছুট ক্ষুধার্ত সিপিএম কর্মী-সমর্থকও রয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে 10323 চাকরিচ্যুতদের পরিবার। রয়েছে জে আর বি টিপরীক্ষার্থীরা , রয়েছে টেট পরীক্ষার্থীরা , রয়েছে টিআরবিটি। এই সমস্ত পরিবারগুলি যোগ করলে বেরিয়ে আসবে মোট ভোটারের সংখ্যা। এই সমস্ত কিছু বিষয় সমূহ চিন্তন বৈঠকে উঠে আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বৈঠকে উপস্থিত রয়েছেন উত্তর-পূর্বাঞ্চলের দায়িত্বপ্রাপ্ত সংগঠন মন্ত্রী ফণীন্দ্রনাথ শর্মা , রয়েছে প্রদেশ বিজেপি নয়া রাজ্য প্রভারি ড: মহেশ শর্মা , হয়েছেন দলের জাতীয় মুখপাত্র সম্বিত পাত্র। বি এল সন্তোষ। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বর্তমান সাংসদ বিপ্লব কুমার দেব, বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ড :মানিক সাহা , প্রদেশ বিজেপি রাজ্য সভাপতি রাজিব ভট্টাচার্য , উপমুখ্যমন্ত্রী জিষ্ণু দেব বর্মন , শিক্ষামন্ত্রী রতন লাল নাথ, তথ্য-সংস্কৃতি দপ্তরের মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী , সহ সাংসদ রেবতী ত্রিপুরা, উপজাতি কল্যাণ মন্ত্রী রাম পদ জমাতিয়া ,সমাজকল্যাণ মন্ত্রী সান্তনা চাকমা অন্যান্য পদাধিকারীরা। আগরতলার হাপানিয়ায় বসেছে চিন্তন বৈঠক। বৈঠকে উল্লেখিত বিষয়গুলি সমাধান করতে পারলেই বিজেপির আগামীর পথ খোলা বলে ধারণা করা যাচ্ছে। নতুবা শঙ্কা রয়েছে আকস্মিক বিপদের।