জনতার কলম ত্রিপুরা আগরতলা প্রতিনিধি:-
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীজির মার্গদর্শনে এবং মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহার সুযোগ্য নির্দেশনা ও পরিচালনায় রাজ্যের প্রতিটি নাগরিকের বাড়িতে নল বাহিত পরিস্রুত পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যকে সামনে রেখে মঙ্গলবার উনকোটি জেলায় জল জীবন মিশন প্রকল্পের বাস্তবায়ন নিয়ে কুমারঘাট পূর্ত দপ্তরের অফিসের কনফারেন্স হলঘরে এক উচ্চস্তরীয় পর্যালোচনা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। গুরুত্বপূর্ণ এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দপ্তরের মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী।
জল জীবন মিশন প্রকল্পের সাথে যুক্ত কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে অবগত হয়ে এই মিশনের সাথে যুক্ত সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করেন মন্ত্রী শ্রী চৌধুরী। পর্যালোচনা বৈঠকে উনকোটি জেলার অন্তর্গত বিভিন্ন এলাকায় হর ঘর জল নিশ্চিত করার জন্য জল জীবন মিশনের বাস্তবায়নের জন্য বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হর ঘর জল শ্লোগানকে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে রাজ্য সরকারের পানীয় জল ও স্বাস্থ্য বিধান দপ্তর দিনরাত্রি নিরলসভাবে “মিশন মুডে” কাজ করে চলেছে।এই প্রকল্পে সঠিক গুণগতমান বজায় রেখে এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে কাজ হচ্ছে কিনা তা জানতে প্রতিমাসে নিয়মিত ভাবে বিভিন্ন জেলায় পর্যালোচনা বৈঠক করে চলছে। কুমারঘাটে অনুষ্ঠিত এদিনের বৈঠকে জল জীবন মিশন সংক্রান্ত বিভিন্ন পরিকল্পনা প্রণয়ন, পরিকল্পনার বাস্তবায়ন এবং উনকোটি জেলায় এ পর্যন্ত কতটা কাজ হয়েছে তা নিয়ে পর্যালোচনা করা হয়। এই প্রকল্পের বাস্তবায়নের জন্য কিভাবে আরও দ্রুত কাজ করা যায় তা নিয়ে আলোচনা হয়। জীবনযাত্রা সহজ করা এবং জীবনের মানোন্নয়ন নিশ্চিত করার জন্য প্রধানমন্ত্রী এই প্রকল্পের সূচনা করেন। এর মাধ্যমে বিশেষ করে গ্রামীণ এলাকার মহিলারা উপকৃত হবেন। কারণ তারা বাড়ির জন্য বহু দূর থেকে জল নিয়ে আসেন। এই প্রকল্পে দক্ষ কর্মশক্তি౼ কলের মিস্ত্রি, রাজ মিস্ত্রি, বৈদ্যুতিক মিস্ত্রি, পাম্প অপারেটরদের যুক্ত করা হবে, যাতে গ্রামাঞ্চলে তাঁদের এই প্রকল্পে কাজে লাগানো যায়। বৈঠকে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের তপশিলী জাতি কল্যাণ/প্রাণীসম্পদ বিকাশ দপ্তরের মন্ত্রী তথা পাবিয়াছড়া বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক ভগবান চন্দ্র দাস, ফটিকরায় বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক সুধাংশু দাস,উনকোটি জেলার জেলা শাসক উত্তম কুমার চাকমা, উনকোটি জিলা পরিষদের সভাধিপতি অমলেন্দু দাস, সহকারি সভাধিপতি শ্যামল দাস, জেলা পরিষদের অন্যান্য সদস্যগণ, বিভিন্ন পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান/ভাইস-চেয়ারম্যান ও অন্যান্য সদস্যগণ, পানীয় জল ও স্বাস্থ্যবিধান দপ্তরের মুখ্য বাস্তুকার শ্যামলাল ভৌমিক, তত্বাবধায়ক বাস্তুকার রাজীব মজুমদার, মহকুমা শাসক,বিভিন্ন ব্লকের সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক,
জেলার পুলিশ সুপার কিশোর দেববর্মণ,মহকুমা পুলিশ আধিকারিক,প্রকল্পের সাথে যুক্ত নির্বাহী সহকারী বাস্তকার সহ অন্যান্য বিশিষ্টজনেরা।