Site icon janatar kalam

ভারত কেশরী ডঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জীকে শ্রদ্ধাঞ্জলি

জনতার কলম ত্রিপুরা আগরতলা প্রতিনিধি:-ডঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জির সাথে রাজ্যের একটা নিবিড় সম্পর্ক ছিল। তিনি মহারাজা বীর বিক্রমকে হিন্দু মহাসভার সভাপতিও বানিয়েছেন। রাষ্ট্রধর্ম পালন করাকেই ধর্ম বলা হয়। নাগরিকের প্রথম ধর্ম হলো রাষ্ট্রকে শক্তিশালী করা। আর তা শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী শিখিয়েছেন। শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী বলেছেন সবার জন্য ন্যায় কারো জন্য তুষ্টিকরণ নয়। তুষ্টিকরণের রাজনীতি ভারতবর্ষে চলতে পারেনা। ডঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি’র ১২২ তম জন্ম জয়ন্তীতে বুধবার শ্রদ্ধাঞ্জলি অনুষ্ঠানে এই কথা বলেন রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রি জিষ্ণু দেববর্মণ। দেশের অখন্ডতার স্বার্থে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করার স্বার্থে প্রাণ বলিদান দিয়েছেন, দেশকে যিনি দিশা দেখিয়েছেন সেই ভারত কেশরী ডঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জীর অবদান মহাত্মা গান্ধী রবীন্দ্রনাথ বিবেকানন্দের থেকেও কোন অংশে কম নয়। তাই সারা দেশ উনাকে আজ শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছে।নিজের বক্তব্যে তা তুলে ধরেন রাজ্যের তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী।
আগরতলার রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে রাজ্য সরকারের তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের উদ্যোগে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আগরতলা পুর নিগমের মেয়র দিপক মজুমদার, দপ্তরের অধিকর্তা সহ অন্যান্য বিশিষ্ট জনরা। অনুষ্ঠানে রাজ্যের উপ মুখ্যমন্ত্রী জিষ্ণু দেববর্মণ আরো বলেন হিন্দুত্ব বললেই শুধু আরাধনা পদ্ধতিকে বোঝানো হবে তা নয়। আরাধনা পদ্ধতিকে ধর্ম বলা হয় না। রাষ্ট্রধর্ম পালন করাকেই ধর্ম বলা হয় বলে উল্লেখ করেন তিনি।এদিন রাজ্যের তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের মন্ত্রিস সুশান্ত চৌধুরী বলেন কোন সরকার কোন নেতা সাহস করেনি ভারতবর্ষকে কাশ্মীরের সাথে যুক্ত করার , কাশ্মীরকে ভারতের সাথে যুক্ত করার। যেটা শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী শুরু করেছিলেন। বলেন নেহি চলেগা এক দেশ মে দো নিশান ,দো বিধান ,অর দো প্রধান। সে কথা বলে স্লোগান তুলে হিন্দু মহাসভাকে সঙ্গে নিয়ে কাশ্মীরে তিনি প্রবেশ করার চেষ্টা করেছিলেন। কাশ্মীরে ভারতবর্ষের সরকার উন্নয়নের কাজ করতে পারবেনা আর কাশ্মীরে এটা আমাকে মেনে নিতে হবে তার বিরুদ্ধে তিনি শ্লোগান তুলেছিলেন।অনুষ্ঠানে ডঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জিরকে কেন্দ্র করে একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।

Exit mobile version