Site icon janatar kalam

মহাসাড়ম্বরে কল্যাণপুরে উদযাপিত হল লোকনাথ ব্রহ্মচারী বাবার ১৩২ তম তিরোধান উৎসব

জনতার কলম ত্রিপুরা, কল্যাণপুর প্রতিনিধি :-মহাসাড়ম্বরে কল্যাণপুরে উদযাপিত হল শ্রীশ্রী লোকনাথ ঠাকুরের ১৩২ তম তিরোধান উৎসব। কল্যাণপুর নতুন মোটর স্ট্যান্ড সংলগ্ন কল্যাণপুর লোকনাথ সেবা মন্দির এর উদ্যোগে এই দিনটি নানা মাঙ্গলিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে পালিত হয়। কুড়ি বছরে পা রাখল এবারকার উৎসব। শুক্রবার সকাল থেকেই তিরোধান উৎসবের সূচনা হয়। দিন দিন ভোর সরকার রেজিস্ট্রিকৃত কল্যাণপুর লোকনাথ সেবা মন্দিরে বিশেষ পূজা অর্চনা অনুষ্ঠিত হয়। ধর্মীয় আবেগে বিভিন্ন দূর-দূরান্ত থেকে ভক্ত প্রেমী মানুষরা সামিল হন উৎসবে। উপজাতী অংশের মানুষরাও আসেন। বিশেষ করে এদিনের পুজোতে দলে দলে মহিলারা শামিল হন। খোয়াই ,কল্যাণপুর, তেলিয়ামুড়া, মোহরছড়া, বাগানবাজার ,রতিয়া, ঘিলাতলী ,সরবং বাজার, আর এস পাড়া,বড় ময়দান, মুরাবাড়ি, সহ বিভিন্ন এলাকা থেকে অগণিত ভক্তরা সামিল হন বাবার উৎসবে। শুধু উৎসব বললে ভুল হবে এজন্য জাতি উপজাতির মিলনক্ষেত্র। মহা ধুমধামে মহা উৎসবে সামিল হন জাতি-ধর্ম-বর্ণ সহ সমস্ত অংশের মানুষ। সকালে বাবা লোকনাথ ঠাকুর কে দেয়া হয় বাল্যভোগ। সকাল দশটায় বিশেষ পূজা এবং জঘ্ করা হয়। বেলা বারটায় হয় ভোগ রাগ। বেলা দুটোই শুরু হয় সবার মধ্যে মহাপ্রসাদ বিতরণ। এতে শামিল হন এলাকার বিধায়ক পিনাকি দাস চৌধুরী, কল্যাণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তাপস দেব রায় সহ অন্যান্য বিশিষ্ট জনেরা। বেলা যত বাড়তে থাকে অগুনিত মানুষের ভিড় তত বাড়তে থাকে। একটা সময় ভক্তদের ভিড় সামাল দিতে পুলিশকে অনেকটা বেগ পেতে হয়। এই মহা মিলনের উৎসবে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় কল্যাণপুর স্কাউট অ্যান্ড গাইড এর সদস্যরা। আলোকমালা নানা রকম বাহারি ফুলে সাজিয়ে তোলা হয় কল্যাণপুর লোকনাথ সেবা মন্দির কে। যা এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করে। ছোট ছোট বালক বালিকাদের নিয়ে তৈরি করা হয় স্বেচ্ছাসেবক টিম। পুরোহিতের মন্ত্র উচ্চারণ এর মধ্য দিয়ে জাগ্রত হন বাবা লোকনাথ ঠাকুর। এদিকে মাইকে এবং সাউন্ড বক্সে দিনভর বাজতে থাকে লোকনাথ ঠাকুরের ভক্তিমূলক গান। সব মিলিয়ে এক অনাবিল আনন্দে গা ভাসানো প্রত্যেকই। উৎসব কমিটির পক্ষে বলা হয় আগামী বছর আরও বড় পরিসরে এই মহামিলনের উৎসব করার পরিকল্পনা রয়েছে। এদিকে শুক্রবার সকালে দেখা গেল ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা ফুল বেলপাতা নিয়ে হাজির যার যার মানত কামনা পূরণ করতে। গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার রাতে হয় অধিবাস কীর্তন এবং খোয়াই নদী তে গিয়ে জলভরা অনুষ্ঠান। এই জলভরা অনুষ্ঠানে এলাকার মহিলারা লালপের শাড়ি পড়ে দলে দলে শামিল হন। ছিল আতসবাজির রোশনাই।

Exit mobile version