জনতার কলম ত্রিপুরা আগরতলা প্রতিনিধিঃ- গত জানুয়ারি মাসের ৫ তারিখ নিজের ছোট ভাই মুজিবুর ইসলাম মজুমদারকে শেষ বারের মত দেখতে নানা রাজনৈতিক বিতর্ককে একপাশে রেখে তিনি সুনামুড়া পৌঁছেছিলেন। তারপর থেকে খানিকটা মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন তিনি। অবশেষে শরীরে সামান্য জটিল অসুবিধা সঙ্গে নিয়ে বেশ কয়েকদিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় থেকে সোমবার মৃত্যুর চরম বাস্তবতার কাছে হার মানলেন। ২০১৮ সালের বিজেপির বক্সনগর কেন্দ্রের প্রার্থী বাহারুল ইসলাম মজুমদার। জিবি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। কর্কট রোগে আক্রান্ত বাহারুল কে দেখতে গত ক’দিন আগে জিবি হাসপাতালে গিয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। সোমবার রাত বারোটা নাগাদ মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন রাজ্যের কৃষি দপ্তরের প্রাক্তন আধিকারিক বাহারুল ইসলাম মজুমদার। মৃত্যুকালে উনার বয়স হয়েছিল ৬৩ বছর। কংগ্রেস দলের হয়ে প্রাক্তন মন্ত্রী তথা প্রয়াত মনসুর আলীর পুত্র বাহারুল ইসলাম মজুমদার এর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে শোকের ছায়া নেমে আসে। শহরের উমাকান্ত একাডেমি প্রাক্তনী বাহারুল ইসলাম মজুমদার কৃষি দপ্তরের দীর্ঘ দায়িত্বের সঙ্গে কাজ করেছেন। সম্প্রতি তিনি শাসক দল ছাড়া ও উমাকান্ত একাডেমির এলামনির প্রাক্তন সভাপতি পদেও ছিলেন। মঙ্গলবার আগরতলার প্রদেশ বিজেপি কার্যালয়ে তার মরদেহ নিয়ে আসা হয় সেখানে বিজেপি প্রদেশ সভাপতি ডক্টর মানিক সাহা পৌরনিগমের মেয়র দীপক মজুমদার সহ দলীয় কর্মী সমর্থকরা তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানান। এদিন সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে প্রদেশ বিজেপি সভাপতি ও পৌর নিগমের মেয়র দীপক মজুমদার উনার সম্পর্কে বলতে গিয়ে জানান বাহারুল ইসলামের প্রয়াণে ভারতীয় জনতা পার্টির বিশাল ক্ষতি হলো, তিনি ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারম্যান ছিলেন। তাছাড়া তিনি একজন কৃষি বিজ্ঞানী হবার দরুন কিভাবে নতুন পদ্ধতিতে চাষাবাদ করা যায় সে দিক দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। উনার মৃত্যুতে ভারতীয় জনতা পার্টির পাশাপাশি ত্রিপুরা রাজ্যও এক অফুরন্ত সম্পদকে হারালো, উনার মৃত্যুতে যে ক্ষতি হয়েছে তা পূরণ করা অসম্ভব বলে জানিয়েছেন এবং পরিবার পরিজনদের প্রতি সমবেদনা জানান।