জনতার কলম ত্রিপুরা আগরতলা প্রতিনিধিঃ- বৃহস্পতিবার 2 ICFAI বিশ্ববিদ্যালয়ের জনজাতি ছাত্র নাম এঞ্জেল দেব্বর্মা এবং তার বন্ধু সার্কিট হাউজ পার হবার সময় হঠাৎ তাদের গাড়িতে গোলযোগের কারণে রাস্তায় আটকে গিয়েছিল, যার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কনভয় কয়েক সেকেন্ডের জন্য থামানো হয়েছিল। এই বিষয়টিকে কেন্দ্র করে ট্রাফিক পুলিশ কিশোর বণিক এবং অন্যান্য 2 ট্রাফিক পুলিশ 2 যুবককে নির্মমভাবে লাঞ্ছিত করে, পরে তাদের এনসিসি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। ট্রাফিক পুলিশের ভূমিকার নিন্দা জানিয়ে ৪ বামপন্থী ছাত্র সংগঠন এসএফআই, টিএসইউ, ডিওয়াইএফআই, টিওয়াইএফ সাংবাদিক বৈঠকের আয়োজন করেছে। এদিন টিএসইউর সাধারণ সম্পাদক নেতাজি দেববর্মা দাবি করেন, যারা উপযুক্ত কারণ ছাড়াই ২ কলেজ ছাত্রকে হয়রানি করেছে তাদের অবিলম্বে বরখাস্ত করতে হবে এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে। ট্রাফিক পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা না নিলে ব্যাপক আন্দোলনে যাবে ছাত্র সংগঠনগুলো। DYFI এর রাজ্য সম্পাদক নবারুণ দেব 2 নিরীহ কলেজ ছাত্রদের বিরুদ্ধে ট্রাফিক পুলিশের ভূমিকার নিন্দা জানিয়ে আওয়াজ তুলেছেন এবং জিজ্ঞাসা করেছেন কালামচৌড়ার পিএস ২য় ওসিকে মাদকের গাড়ির দ্বারা হত্যার বিরুদ্ধে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কী পদক্ষেপ নিয়েছেন? মোহনপুর ধর্ষণের ঘটনার বিরুদ্ধে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কী ব্যবস্থা নিয়েছেন সেই প্রশ্নও তুলেছেন, ২০২০ সালের ১২ মার্চ ধর্ষণের পর যে মেয়েটিকে জীবন্ত পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। বিজেপি আমলে কিন্তু কোনো গ্রেপ্তার করা হয়নি, বিপরীতে ত্রিপুরা পুলিশ অভিযুক্তদের আটক করার পরিবর্তে মুখ্যমন্ত্রীকে খুশি করার জন্য ছাত্রদের হয়রানি করছে যা অগ্রহণযোগ্য”, বলেন দেব। যুব নেতা পুলিশ কর্মকর্তাদের দ্বৈত ভূমিকা পালন না করার অনুরোধ জানান।