জনতার কলম ত্রিপুরা তেলিয়ামুড়া প্রতিনিধি :- ফের বন্য দাঁতাল হাতির উন্মত্ত তান্ডব অব্যাহত রয়েছে তেলিয়ামুড়া গ্রামীণ এলাকার সাধারণ গৃহস্থ পরিবারের বসত ঘরে । ঘটনা গতকাল রবিবার মধ্য রাত আনুমানিক ১১ টা ৪০ মিনিট নাগাদ তেলিয়ামুড়া বন-দপ্তরের অধীন মহারানীপুরের কপালীটিলা এলাকায় । উল্লেখ্য, বর্তমান কনকনে শীত মরসুমে যেই জায়গায় অন্যান্য আর ৫ টা সাধারণ মানুষের মতো তেলিয়ামুড়া বন-দপ্তরের অধীন মহারানীপুর, কপালিটিলা, কৃষ্ণপুর, উত্তর কৃষ্ণপুরের গ্রামীণ এলাকার সাধারণ গৃহস্থ পরিবারেরও ঘরের মধ্যে কন কনে শীতে কম্বল মুড়ি দিয়ে শীতনিদ্রায় আচ্ছন্ন হওয়ার কথা, সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে তেলিয়ামুড়া বন-দপ্তরের অধীন গ্রামীণ এলাকার একাংশ পরিবার আজও এই শীতের রাতেই খোলা আকাশের নিচে গনেশের আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে আত্মঃরক্ষার্থে বাড়িঘর ছেড়ে এই মাথা থেকে ওই মাথা ছুঁটে চলেছে— মানুষ আজ বড়োই অসহায় । কিন্তু রাজ্য সরকারের অধীনস্ত বন-দপ্তর যেন রয়েছে মূলতঃই কুম্ভ-নিদ্রায় আচ্ছন্ন । মূলতঃ বলা চলে, গ্রামীণ এলাকার সাধারন মানুষকে বন্য দাঁতাল হাতির বরাবরের মতো চলে আসা উন্মত আক্রমণ থেকে নিস্তার পাইয়ে দিতে এক প্রকার ব্যর্থ তেলিয়ামুড়ার বন-দপ্তর ও প্রশাসন । ঘটনার বিবরণে জানা যায়, গতকাল রবিবার গভীর রাতে হঠাৎ ৩ টি বন্য দাঁতাল হাতি রোশের বেগে উন্মত তান্ডব চালায় তেলিয়ামুড়া বন-দপ্তরের অধীন মহারানীপুর ও কপালিটিলা এলাকার সাধারণ মানুষের বাড়ি ঘরে । তৎসঙ্গে নিমেষের মধ্যেই ধুলিস্যাৎ করে দেওয়া হয় বেশ কয়েকটি বসত ঘর । শুরু হয় চিৎকার-চেঁচামেচি ও আত্মঃরক্ষার্থে দৌড়ঝাঁপ । কিন্তু এই করূন সময়েও দেখা মিলল না তেলিয়ামুড়া বন-দপ্তরের কোন “ADS” টিম বাহিনীর । পরবর্তীতে বাধ্য হয়ে স্থানীয় এলাকার একাংশ যুবক মিলিত প্রয়াসে খালি জায়গায় বসত ঘরের সামনে আগুন ধরিয়ে দেয় । তৎসঙ্গে গনেশ’কে লক্ষ্য করে ছুঁড়া হয় বাজি পটকা । তবুও যেন রুখা গেলো না গণেশের ধ্বংসস্তূপ পর্ব । দীর্ঘ ৪ ঘন্টা বন্য দাঁতাল হাতির উন্মত্ত তান্ডবের পরে প্রায় ভোর রাতেই এলাকার যুবকদের সহায়তায় বন্য দাঁতাল হাতিটি এক সময় জঙ্গলমুখী হয়ে পড়ে । এইদিকে তেলিয়ামুড়া বন-দপ্তরের আধিকারিকদের এই রকম খামখেয়ালীপনা’র দরুন বলতে গেলে প্রায় প্রতিদিনই গ্রামীণ এলাকার মানুষ জন নিজেদের বসত ঘর হাড়িয়ে আজ সর্বস্বান্ত হয়ে পড়েছে, তৎসঙ্গে বন-দপ্তরের আধিকারিকদের প্রতি ক্ষোভে ফুঁসছে স্থানীয় এলাকার মানুষজন । এখন মূলতঃ এটাই দেখার বিষয় যে বারংবার সংবাদ পরিবেশনের পরেও রাজ্য সরকার সহ তেলিয়ামুড়ার বন-দপ্তরের আধিকারিকেরা গ্রামীণ এলাকার বিপদমুখী মানুষদের জীবন রক্ষা করতে ফের একবার কোন রকম আদৌও কার্যকরী ভূমিকা গ্রহণ করতে সচেষ্ট হয় কি না— না কি বরাবরের মতোই রইবে কুম্ভ-কর্ণের নিদ্রায় মগ্ন !!
Leave a Comment