Site icon janatar kalam

গাঁজা সাম্রাজ্য ধ্বংসে টাক্কাল বাহিনীর মুখে মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সোনাচরণ জমাতিয়া

জনতার কলম ত্রিপুরা তেলিয়ামুড়া প্রতিনিধি :- “জঙ্গলে গাঁজা মাফিয়া
ময়দানে সোনাচরণ জমাতিয়া”— আর এই “গাঁজার সাম্রাজ্য” ধ্বংস করতে আজ শুক্রবার তেলিয়ামুড়ার উত্তর মহারানী এলাকায় গিয়ে তেলিয়ামুড়ার মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সোনাচরণ জমাতিয়া’কে পড়তে হয় টাক্কাল বাহিনীর হামলা ও কেরোসিনের মুখে । নিমেষের মধ্যেই পরিস্থিতি হয়ে ওঠে চরম উত্তপ্ত । ঘটনা আজ শুক্রবার দুপুর ২ টা নাগাদ উত্তর মহারানী এলাকায় । ঘটনার বিবরণে জানা যায়, আজ শুক্রবার সকাল নাগাদ মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সোনাচরণ জমাতিয়ার কাছে গোপন সূত্র মারফত একটি খবর আসে তেলিয়ামুড়ার উত্তর মহারানী এলাকায় বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে গাঁজার সাম্রাজ্য গড়ে উঠেছে । আর সেই খবরের ভিত্তিতেই, মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সোনাচরণ জমাতিয়ার নেতৃত্বে প্রফেশনাল “DSP” প্রসেনজিৎ দাস, কল্যানপুর থানার ওসি শুভ্রাংশু ভট্টাচার্য্য, সাব ইন্সপেক্টর জয়ন্ত দেবনাথ, বিশ্বজিৎ চৌধুরী সহ ৭১ নং ব্যাটালিয়নের “CRPF” বাহিনী ও “TSR” বাহিনী উত্তর মহারানীর দেওয়ান সর্দার পাড়া ও অধুনীয়া এলাকার গভীর জঙ্গলে দফায় দফায় হানাদারি চালায় । আর পুলিশের এই অভিযানেই আসে বিরাট সাফল্য । পুলিশি অভিযানে উত্তর মহারানী’র দেওয়ান সর্দার পাড়ার গভীর জঙ্গলে উদ্ধার হয় আড়াই (২.৫) কানি গাঁজা’ বাগানের বিশাল সাম্রাজ্য । সঙ্গে সঙ্গেই আরক্ষা বাহিনী গাঁজা বাগানে নেমে গাঁজা গাছ কেটে বাগান ধ্বংস করে দেওয়া শুরুর মুহূর্তেই হঠাৎ জনা কয়েক উপজাতি মহিলা দা, টাক্কাল, লাঠিসোটা নিয়ে তীব্র রাগ ও ক্ষোভে পুলিশের দিকে তেরে আসে । তৎসঙ্গে গাঁজা সাম্রাজ্য ধ্বংসে বাধা প্রদান করা হয় । আত্মরক্ষার্থে রাষ্ট্রপতি কালার্স প্রাপ্ত পুলিশ বাবুরা বাগান থেকে কিছুটা পিছিয়ে আসে । কিন্তু পুলিশ বাবুরা ঘটনাস্থল থেকে ফিরে আসতে চাইলে হঠাৎ উপজাতি মহিলারা অন্য পথ ধরে পুলিশ বাবুদের জঙ্গল থেকে বের হওয়ার রাস্তা বাঁশ ও হাত দিয়ে আটকে দেয় । শুরু হয় ধস্তাধস্তি । কিন্তু এখানেই শেষ নয়, হঠাৎ কিছু উত্তেজিত মহিলা দৌড়ে ছুঁটে এসে তেলিয়ামুড়া মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সোনাচরণ জমাতিয়া’র গাড়ির চাকায় কেরোসিন ঢেলে দেয় তৎসঙ্গে অগ্নিসংযোগ করার চূড়ান্ত রুপ নিয়ে নেয় । কিন্তু ঘটনাস্থলে যথারীতি উপস্থিত মহিলা পুলিশ কনস্টেবল ওই উত্তেজিত মহিলাকে আটক করে মহিলার কাছ থেকে কেরোসিনের ডাম’টি নিয়ে নেয়, মহিলা পুলিশ ও উপজাতির মহিলাদের ধস্তাধস্তিতে কিছুটা কেরোসিন গিয়ে পড়ে পুলিশ বাবুদের শরীর ও মুখে । তৎক্ষণাৎ সঙ্গে সঙ্গেই মহকুমা পুলিশ আধিকারিকের গাড়িটি অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয় । পরবর্তীতে আর কোনো পথ বার করতে না পেরে পুলিশ ও উপজাতিদের দফারফা’ ও উত্তেজনা পরিস্থিতির মধ্য দিয়েই ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ বাবুরা অনেকটা ব্যর্থ হয়েই বলা চলে শহরে ফিরে আসতে বাধ্য হয় । পরবর্তীতে এইদিকে মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সোনাচরন জমাতিয়া সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে জানান—

“আজকের এই গাঁজা সাম্রাজ্য ধ্বংস অভিযানে পুলিশকে বাঁধা প্রদানের মধ্য দিয়েও মোট আড়াই (২.৫) কানি জমিতে ৩ লাখ টাকা’র গাঁজা গাছ পুরোপুরি ধ্বংস করে দেয় । এছাড়া তিনি আরও জানান মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবের স্বপ্ন ‘নেশামুক্ত ত্রিপুরা’ গড়তে ও বর্তমানে নেশার তীব্র কবল থেকে বর্তমান যুব সমাজকে রক্ষা করতে ও সুস্থ সমাজ-মন গঠনে পুলিশের এই নেশা-গাঁজা বিরোধী অভিযান আগামী দিনেও এইরকম নেশা ও গাঁজা বিরোধী অভিযান জারি থাকবে” ।।

Exit mobile version