জনতার কলম ত্রিপুরা প্রতিনিধিঃ- 40 নম্বরে পরীক্ষা হতে হবে। এই দাবিতে নবম এবং একাদশ শ্রেণীর ছাত্র ছাত্রীরা জাতীয় সড়ক অবরোধ করে। ঘটনা শনিবার সকাল সাড়ে 11 টায় চরিলাম দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয় এর সামনে আগরতলা সাবরুম ৮ নং জাতীয় সড়কে। চরিলাম দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয় নবম এবং একাদশ শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের অভিযোগ তারা আজকে থেকে স্কুলে যে পরীক্ষা শুরু হয়েছে ৮০ নম্বরের। সেই পরীক্ষা তারা দেবে না। কারণ অনেক আগে থেকেই তাদেরকে বলা হয়েছিল পরীক্ষা হবে 40 নম্বরের এবং প্রশ্নের মান থাকবে 1 থেকে 2 নম্বরের। কিন্তু হঠাৎ করে 1 ডিসেম্বর ছাত্র-ছাত্রীদেরকে জানানো হয় তাদের পরীক্ষা হবে ৮০ নম্বরের এবং প্রশ্নের মান হবে 2 থেকে 3 থেকে 4 এবং 5 এবং 6 নম্বরের নম্বরের। শনিবার দিন থেকে শুরু হবার কথা তাদের পরীক্ষা। শনিবার দিন স্কুলে এসে সমস্ত ছাত্র-ছাত্রী একত্রিত হয় এবং তাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে যে হঠাৎ করে ৮০ নম্বরের পরীক্ষা এবং প্রশ্নের মান এত বেশি থাকলে আমরা কি করে পরীক্ষা দেব? আমাদেরকে প্রিপারেশন নেওয়ার সময় দেওয়া হয়নি কেন? তাই আমরা পরীক্ষা দেবো না। স্কুলে এসে নবম এবং একাদশ শ্রেণীর ছাত্র ছাত্রীরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে স্কুলের সামনে জাতীয় সড়কে বসে পড়ে। দুই দিক থেকে শত শত গাড়ি এবং যানবাহন এবং এম্বুলেন্স আটকা পড়ে যায়।জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয় দশ থেকে পনেরো মিনিটের জন্য। স্কুলের সহকারি প্রধান শিক্ষিকা সুদ্দিতা দেববর্মা তখন নিজের রুমে বসে কাজ করছিলেন। হঠাৎ করে জাতীয় সড়কে চিৎকার আওয়াজ শুনে দৌড়ে চলে আসেন স্কুলের বাইরে এবং ছাত্র-ছাত্রীদের বুঝিয়ে স্কুলের ভাণ্ডারের মধ্যে ঢুকিয়ে তালা দিয়ে দেন। এরপরেও ছাত্রছাত্রীরা তাদের দাবিতে অনড় থাকে। অনেকক্ষণ যাবৎ স্কুলের সহকারি প্রধান শিক্ষিকা এবং অন্যান্য শিক্ষক-শিক্ষিকা সবাই মিলে ছাত্র-ছাত্রীদের অনেকক্ষণ যাবৎ বুঝিয়ে আয়ত্তে এনেছেন। তবে এলাকার শিক্ষানুরাগী মহলের বক্তব্য ছাত্র-ছাত্রীরা ন্যায্য দাবি নিয়ে আন্দোলন করেছিল যদিও জাতীয় সড়ক অবরোধ তাদের ঠিক হয়নি। অল্প সময়ের জাতীয় সড়ক অবরোধের খবর পেয়ে বিশালগড় থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে অশ্ব ডিম্ব প্রসব করে গেছেন। কিছুই পাননি। পরীক্ষার নম্বরের দাবিতে ছাত্র ছাত্রীদের জাতীয় সড়ক অবরোধের খবর চাউর হতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।