জনতার কলম ত্রিপুরা আগরতলা প্রতিনিধি:- জানা যায় শনিবার আশ্রম চৌমুহনিতে মুখ্যমন্ত্রীর নির্বাচনী জনসমাবেশে যখন ভাষণ রাখছিলেন ঠিক তখনই সভাস্থলের পাশে গাড়ি করে যাওয়ার সময় মুখ্যমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে কটূক্তি এবং খেলা হবে স্লোগান দিয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের যুব সভানেত্রী সায়নী ঘোষ । এই ঘটনার জেরে আশ্রম চৌমুহনি এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছিল । বিজেপি কর্মীরা তার গাড়ির দিকে তেড়ে আসতেই ঘটনাস্থল থেকে দ্রুতবেগে পালিয়ে আসে সায়নী ঘোষ ও তার গাড়ির ড্রাইভার সহ অন্যান্যরা। যেভাবে দ্রুতবেগে গাড়িটি চালানো হয়েছিল এতে এলাকায় বেশ কয়েকজনকে পিষে মারার চেষ্টাও করেছিল তারা। এই ঘটনায় বনমালীপুর মণ্ডলের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ দেবনাথের ( রঞ্জন ) অভিযোগমূলে রাতেই সায়নী ঘোষের বিরুদ্ধে এফআইআর নেয় পূর্ব আগরতলা থানার পুলিশ। মামলা নম্বর ১৫৬/২১ অনুযায়ী ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৫৩ ( বি ) , ৫০৬ , ৩০৭ ও রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের অভিযোগে ১২০ ( বি ) ধারায় মামলাটি রুজু করা হয় । সকালেই হোটেলে অভিযান চালায় পুলিশ । কিন্তু তৃণমূল নেতারা কথা দেন তারা একটু পরেই থানায় আসবেন। যথারীতি থানায় আসেন সায়নী ঘোষ সহ তৃণমূলের শীর্ষ নেতারা। এরপরই সায়নী ঘোষকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ চালায় পুলিশ এবং বিকাল পৌনে পাঁচটা নাগাদ তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রেপ্তার করে পুলিশ । যেহেতু আজকে আর আদালতে সোপর্দ করার সময় নেই , তাই আগামীকালই সায়নী ঘোষকে আদালতে সোপর্দ করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ । আর যেহেতু মামলাটি জামিন অযোগ্য , তাই থানা থেকে জামিন দেওয়ার প্রশ্নই নেই , জানিয়েছেন পুলিশ কর্তারা। তবে এই ঘটনার পেছনে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তৃণমূল নেতা সুবল ভৌমিক এবং কুণাল ঘোষ । তাদের অভিযোগ , ত্রিপুরায় সংবিধান অচল , আইনের শাসন ভেঙে পড়েছে , গণতন্ত্র বিপন্ন , বিরোধীদের কথা বলার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না । তবে সায়নী ঘোষকে গ্রেপ্তারের আগে তৃণমূল নেতারা যখন পূর্ব আগরতলা মহিলা থানায় এসেছিলেন তখনই থানার অভ্যন্তরে হামলার মুখে পড়ে তারা । বিজেপি আশ্রিত একদল লোক তাদের উপর হামলা চালায় , ভাঙচুর করা হয় সুবল ভৌমিকের গাড়ি । ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায় । রণক্ষেত্রের রূপ নেয় পূর্ব আগরতলা মহিলা থানা ও জেল রোড এলাকা। কিন্তু শাসক দলের এই ঘটনার সাথে এরা জড়িত নই বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন বলে জানান।