জনতার কলম ত্রিপুরা আগরতলা প্রতিনিধি :- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ভারতীয় সংস্কৃতির অন্যতম প্রাণ পুরুষ। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভারতীয় সংস্কৃতিবোধ, চিন্তা-চেতনা ও দেশপ্রেম আগামী প্রজন্মের কাছে আরও বেশী করে নিয়ে যেতে হবে। তিনি জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে বিরাজমান। আজ রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রয়াণ দিবসে আয়োজিত শ্রদ্ধাঞ্জলি অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা একথা বলেন। তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তর আয়োজিত শ্রদ্ধাঞ্জলি অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথা ও সংস্কৃতি দপ্তরের সচিব ড. প্রদীপ কুমার চক্রবর্তী, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন লেখক ও গবেষক ড. সৌরিশ দেববর্মা। সভাপতিত্ব করেন রাজ্যভিত্তিক সাংস্কৃতিক উপদেষ্টা কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত চক্রবর্তী। অনুষ্ঠানে সবাইকে স্বাগত জানিয়ে বক্তব্য রাখেন তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের অধিকর্তা বিম্বিসার ভট্টাচার্য। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা বলেন, ২৫শে বৈশাখ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মদিন এবং ২২শে শ্রাবণ প্রয়াণ দিবস আমরা সবসময়ই মনে রাখি। আজ এই দিনে তিনি প্রয়াত হয়েছেন ঠিকই কিন্তু কবিগুরু এখনও আমাদের কাছে সমান প্রাসঙ্গিক। সাহিত্য ও সংস্কৃতির প্রতিটি শাখাতেই রবীন্দ্রনাথের ছিল অবাধ বিচরণ। সঙ্কটকালে তিনি এখনও আমাদের উত্তরণের দিশা দেখান। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, দেশবাসীকে সুদৃঢ় বন্ধনে আবদ্ধ করতে তিনি রাখিবন্ধন উৎসব শুরু করেছিলেন। ১৯১৯ সালে জালিয়ানওয়ালাবাগে ইংরেজ শাসকদের গণহত্যার প্রতিবাদে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নাইট উপাধি ত্যাগ করেছিলেন। ত্রিপুরার সাথে কবিগুরুর নিবিড় সম্পর্কের কথাও তিনি আলোচনায় উল্লেখ করেন। অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের সচিব প্রদীপ কুমার চক্রবর্তী বলেন, কবির সৃষ্টি অসীম। তাঁর সৃষ্টি আমাদের চিন্তা চেতনাকে ছুঁয়ে আছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন রবীন্দ্র রচনা অনুবাদ হয়ে আরও বেশী মানুষের কাছে পৌঁছে যাবে। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন লেখক ও গবেষক ড. সৌরিশ দেববর্মা ও অনুষ্ঠানের সভাপতি সুব্রত চক্রবর্তী। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর সঙ্গীত, নৃত্যের মাধ্যমে কবিগুরুর প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে অতিথিগণ রবীন্দ্রনাথের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।
Leave a Comment