জনতার কলম ওয়েবডেস্ক :- কৃষকরা আত্মনির্ভর হলে দেশের অর্থনৈতিক বিকাশ ত্বরান্বিত হবে। তাই কৃষকদের আত্মনির্ভর করে তুলতে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। আজ জিরানীয়ার অগ্নিবীণা হলে মিধিলি ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের আর্থিক সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে খাদ্য, জনসংভরণ ও ক্রেতাস্বার্থ বিষয়ক মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী একথা বলেন। কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তরের উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফান্ডে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে।
অনুষ্ঠানে জিরানীয়া মহকুমার বেলবাড়ি, মান্দাই ও জিরানীয়া ব্লকের ২,৩৮৪ জন কৃষককে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে। আর্থিক সহায়তা হিসেবে কৃষকদের অ্যাকাউন্টে দেওয়া হয়েছে ৬৫ লক্ষ ৩৬ হাজার ৫০০ টাকা। অনুষ্ঠানে খাদ্যমন্ত্রী ও অন্যান্য অতিথিগণ সুবিধাভোগী কৃষকদের হাতে আর্থিক সহায়তার মঞ্জুরিপত্র তুলে দেন। অনুষ্ঠানে খাদ্যমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী আরও বলেন, কৃষকদের কল্যাণে সরকার বহুমুখী পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে। প্রধানমন্ত্রী ফসল বীমা যোজনা, কিষাণ সম্মাননিধি, কৃষি জমির মাটি পরীক্ষা, রাষ্ট্রীয় কৃষি বিকাশ যোজনার মতো প্রকল্পের সুবিধা কৃষকদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।
কৃষকদের বিজ্ঞানসম্মত চাষাবাদে অভ্যস্ত করে তুলতে উন্নত কৃষি যন্ত্রপাতি দেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, রাজ্যে কৃষকদের কাছ থেকে বছরে দু’বার ন্যূনতম সহায়কমূল্যে ধান ক্রয় করা হচ্ছে। রাজ্যে বীজ রোপণ থেকে ফসল উৎপাদন ও উৎপাদিত ফসল বাজারজাতকরণেও সরকার কৃষকদের পাশে থাকছে। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিধায়ক স্বপ্না দেববর্মা ও জিরানীয়া পঞ্চায়েত সমিতির ভাইস চেয়ারম্যান প্রীতম দেবনাথ।
উপস্থিত ছিলেন জিরানীয়া নগর পঞ্চায়েতের চেয়ারপার্সন রতন কুমার দাস, ভাইস চেয়ারপার্সন রীতা দাস, রাণীরবাজার পুরপরিষদের চেয়ারপার্সন অপর্ণা শুক্লদাস, ভাইস চেয়ারপার্সন প্রবীর কুমার দাস, জিরানীয়া বিএসির চেয়ারম্যান শুভমণি দেববর্মা, বেলবাড়ি বিএসির চেয়ারম্যান রুকেন দেববর্মা, সমাজসেবী গৌরাঙ্গ ভৌমিক প্রমুখ। অনুষ্ঠানে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন জিরানীয়া পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান মঞ্জু দাস।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তরের যুগ্ম অধিকর্তা হিরেন্দ্র দেববর্মা। তাছাড়াও অনুষ্ঠানে অতিথিগণ প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা- শহুরি প্রকল্পে জিরানীয়া নগর পঞ্চায়েত এলাকার ২১৭ জন সুবিধাভোগীর হাতে পাকা আবাস নির্মাণের মঞ্জুরিপত্র তুলে দেন।