জনতার কলম ত্রিপুরা আগরতলা প্রতিনিধি :- দীর্ঘদিনের প্রতীক্ষা যেন এখন অবসানের অপেক্ষায়। এরপরেই তিথি মেনে মণ্ডপে মন্ডপে পূজিত হবেন সপরিবারে দেবী দুর্গা। তার যাবতীয় প্রস্তুতি যেন এখন চূড়ান্ত। ক্লাবে ক্লাবে চলছে এখন শেষ তুলির টান। তাই গোটা রাজ্যের আপামর উৎসব প্রেমী মানুষ এখন শারদীয়া উৎসবের আনন্দে মেতে ওঠার প্রতীক্ষায় রয়েছেন। তিথি মেনে দেবী দুর্গা পূজিত হবার পর অনুষ্ঠিত হবে প্রতিমা নিরঞ্জন। যা শারদীয় উৎসবের অন্যতম একটি অঙ্গ। রাজধানী আগরতলা শহরের অধিকাংশ প্রতিমা নিরঞ্জন হয়ে থাকে দশমীঘাটে। এবারও তার ব্যতিক্রম হবে না। নিরঞ্জন প্রক্রিয়া যাতে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশের মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হয়, তার জন্য এবারও বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করে আগরতলা পুরনিগম। স্মার্ট সিটি প্রকল্পে এই দশমিঘাটকে নতুন ভাবে সাজিয়ে তোলার কাজ চলছে এখন। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে কাজ। বিগত কয়েক বছরের মতো এবারও পুরনিগমের কর্মীরা বিভিন্ন ক্লাবের প্রতিমা নিরঞ্জন করবেন। এক্ষেত্রে এবারও ব্যবহার করা হবে ক্রেন। শুধু তাই নয়, সুষ্ঠুভাবে যাতে প্রতিমা নিরঞ্জনের কাজ যেন সম্পন্ন হয়, তার জন্য যাবতীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে পুরনিগমের তরফে। তাই প্রতিমা নিরঞ্জনের কাজের কতটুকু অগ্রগতি হলো তা আরো একবার প্রত্যক্ষ করলেন মেয়র দীপক মজুমদার। মঙ্গলবার স্থানীয় কর্পোরেটর তুষার কান্তি ভট্টাচার্য ও পুর নিগমের আধিকারিকদের সাথে নিয়ে দশমিঘাটের সার্বিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন তিনি। কাজের অগ্রগতি দেখে অনেকটাই সন্তোষ ব্যক্ত করেন মেয়র। পরে সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, দশমীঘাটের চেহারা এখন অনেকটা পাল্টে গেছে। মায়ের গমন ও নিরঞ্জন যাতে সুন্দরভাবে হয় তার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে সরকার। এবারও নিরঞ্জন কাজে পৌর নিকবের ৯০ জন কর্মী নিযুক্ত থাকবে। এক্ষেত্রে কোন ক্লাবের সহযোগিতা লাগবে না। তিনি আশা ব্যক্ত করেন যে, গেল বছরের তুলনায় এবছর আরো সুন্দরভাবেই সম্পূর্ণ হবে দশমী ঘাটে নিরঞ্জন প্রক্রিয়া। প্রতিমা নিরঞ্জনকে ঘিরে যাতে কোন ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা না হয়, তার জন্যও পুরনিগম ও প্রশাসন সজাগ থাকবে।