2025-08-25
Ramnagar, Agartala,Tripura
রাজ্য

মানুষকেও হতে হবে স্বনির্ভর: স্মার্ট মিটারকে আধুনিকতার প্রতীক বললেন বিদ্যুৎ মন্ত্রী

জনতার কলম আগরতলা প্রতিনিধি :- উন্নয়নের মূল চাবিকাঠি বিদ্যুৎ—এই বার্তা সামনে রেখে ত্রিপুরা বিদ্যুৎ দপ্তর সারা রাজ্যে নিরবিচ্ছিন্ন ও আধুনিক বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করার উদ্যোগ নিয়েছে। আজ রবিবার আগরতলার বোধজংনগরে এক অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ মন্ত্রী রতন লাল নাথ প্রায় ১২৬ কোটি টাকার ব্যয়ে নয়টি ১৩২ কেভি ট্রান্সমিশন লাইনের এইচটিএলএস কন্ডাক্টর পুনর্নির্মাণ প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।

ত্রিপুরা পাওয়ার ট্রান্সমিশন লিমিটেড (TPTL)-এর উদ্যোগে এবং ডোনার মন্ত্রকের বিশেষ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের অর্থায়নে কাজটি সম্পন্ন হবে। এই প্রকল্প শেষ হলে বিদ্যুৎ সরবরাহ আরও নিরবিচ্ছিন্ন ও দক্ষ হবে বলে জানান মন্ত্রী। মন্ত্রী রতন লাল নাথ বলেন, “আগামী ২০৩১-৩২ অর্থবছরে ত্রিপুরার বিদ্যুৎ চাহিদা ৭০০ মেগাওয়াটে পৌঁছাবে। সেই লক্ষ্য পূরণ করতেই আধুনিকীকরণের কাজ শুরু হয়েছে। এক বছরের মধ্যে লাইন পরিবর্তনের কাজ শেষ হবে।”

তিনি জানান, ২০১৮ সালের আগে রাজ্যে মাত্র ১২টি ১৩২ কেভি সাবস্টেশন ছিল, বর্তমানে সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০-এ। আরও দুটি সাবস্টেশন নির্মাণাধীন। একইভাবে ৩৩ কেভি সাবস্টেশনের সংখ্যা ৪৪ থেকে বেড়ে হয়েছে ৭৫। বর্তমানে গড়ে প্রতিদিন ২৩ ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ সম্ভব হচ্ছে। তবে বিদ্যুৎ চুরি, অতিরিক্ত লোড ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে মাঝে মাঝে সমস্যা তৈরি হয়।

উদাহরণ টেনে মন্ত্রী বলেন, “স্কুল তিন দিন বন্ধ থাকলে তেমন অসুবিধা হয় না, কিন্তু বিদ্যুৎ এক ঘণ্টা না থাকলেই বিশাল সমস্যা দেখা দেয়।” মন্ত্রী ভবিষ্যৎ শক্তি ব্যবস্থার কথাও উল্লেখ করেন। তিনি জানান, গ্যাস ও ডিজেলভিত্তিক যানবাহনের যুগ শেষ হয়ে আসছে, বিদ্যুৎ চালিত ট্রেন ও গাড়ির ব্যবহার দ্রুত বাড়ছে। তাই নবায়নযোগ্য শক্তি বিশেষ করে সৌর শক্তির ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। রাজ্যে ইতিমধ্যেই PM Surya Ghar প্রকল্প চালু হয়েছে।

মন্ত্রী আরও বলেন, “শুধু সরকারের উদ্যোগ নয়, মানুষকেও স্বনির্ভর হতে হবে। আধুনিক প্রযুক্তি গ্রহণ জরুরি। স্মার্ট মিটার সেই আধুনিকতারই প্রতীক, যা সবার উপকারে আসবে।”

এই প্রকল্পের আওতায় যে নয়টি ট্রান্সমিশন লাইন আধুনিকীকরণ হবে সেগুলো হলো— বোধজংনগর-সুর্যমনিনগর, সুর্যমনিনগর-সুর্যমনিনগর লিলো পয়েন্ট, সুর্যমনিনগর-বোধজংনগর, পি.কে. বারী-পি.কে. বারী লিলো পয়েন্ট, আমবাসা-মনু (পি.কে. বারীর মাধ্যমে), পি.কে. বারী-কুমারঘাট, আমবাসা-কমলপুর, রুখিয়া-উদয়পুর এবং রবীন্দ্রনগর-নিপকো মনারচাক।

অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ মন্ত্রীর পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক রতন চক্রবর্তী, পুরাতন আগরতলা পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারপার্সন ঝর্ণা রানি দাস, শান্তিপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান গোপা দাস, আর.কে. নগর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান অনু চন্দ্র দাস, TSECL-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিশ্বজিৎ বসু এবং TPTL-এর জেনারেল ম্যানেজার রঞ্জন দেববর্মা।

    Leave feedback about this

    • Quality
    • Price
    • Service