জনতার কলম আগরতলা প্রতিনিধি:-প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দেশের নারী ও দিব্যাঙ্গজনদের উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে একের পর এক জনকল্যাণমূলক প্রকল্প গ্রহণ করেছেন।
আজ অষ্টম পোষণ মাহ উপলক্ষে ব্লক স্তরের পর্যবেক্ষণ সভা ও মানসিক দিব্যাঙ্গজনদের ব্যক্তিদের মধ্যে অনুমোদনপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে এই কথা বলেন ত্রিপুরা রাজ্যের বিদ্যুৎ মন্ত্রী রতন লাল নাথ।
এই দিনে মন্ত্রী মোহনপুর ব্লকের ১৫ জন দিব্যাঙ্গজনদের ব্যক্তির হাতে অনুমোদনপত্র তুলে দেন।
অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন আমাদের যুবসমাজ, কৃষক ও গরিব মানুষদের শক্তিশালী করতে হবে, তবেই দেশ এগিয়ে যাবে। এই ভাবনা থেকেই প্রধানমন্ত্রী মোদী নিরলসভাবে কাজ করে চলেছেন।
মন্ত্রী বলেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী প্রত্যেকের জন্য কাজ করছেন। সেই কারণেই তিনি ‘স্বাস্থ্য নারী, সশক্ত পরিবার’— এই স্লোগানটি গ্রহণ করেছেন। কারণ, নারী যদি শিক্ষিত, সুস্থ ও স্বাবলম্বী হয়, তবে গোটা পরিবার উন্নত হবে— যা একা পিতা করতে পারে না। মা-ই হলেন প্রথম শিক্ষক, মা-ই পারে সংসার চালাতে। বর্তমানে জমি ও ঘর মহিলাদের নামে দেওয়া হচ্ছে, কারণ মা-ই একটি পরিবারের মূল ভিত্তি। প্রধানমন্ত্রী মোদী নারী ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে একাধিক প্রকল্প গ্রহণ করেছেন।
মন্ত্রী আরও জানান, ত্রিপুরা সরকার বর্তমানে মোট ৩৫ ধরনের সামাজিকভাতা প্রদান করছে।
তিনি জানান ৩.৯৮ লক্ষ মানুষ সামাজিকভাতা পাচ্ছেন। এর মধ্যে তিন ধরনের সামাজিকভাতা কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের যৌথ উদ্যোগে দেওয়া হয়, বাকিগুলি শুধুমাত্র রাজ্য সরকারের উদ্যোগে। এর জন্য বছরে ৮৩০ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা ব্যয় করা হয়। ২০১৮ সালের আগে যেখানে বছরে ৩১০ কোটি টাকা খরচ হতো, এখন সেখানে ৮৩০ কোটি টাকা ব্যয় করা হচ্ছে।
মন্ত্রী আরও বলেন, রাজ্য সরকার মুখ্যমন্ত্রীর মানসিক দিব্যাঙ্গজন কল্যাণ প্রকল্পের অধীনে দিব্যাঙ্গজনদের সামাজিকভাতা প্রদান করছে।
তিনি জানান এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হল ৬০% এর বেশি মানসিক দিব্যাঙ্গজনদের, মানসিক রোগ বা সেরিব্রাল পালসি আক্রান্ত ব্যক্তিদের সহায়তা প্রদান করা। এর আওতায় আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ থেকে উপযুক্ত দিব্যাঙ্গজন ব্যক্তিরা প্রতি মাসে ৫,০০০ টাকা করে ভাতা পাবেন। মুখ্যমন্ত্রী ইতিমধ্যেই এই প্রকল্পের উদ্বোধন করেছেন। প্রথম পর্যায়ে মোট ৮৯১ জন উপযুক্ত ব্যক্তি প্রতি মাসে সরাসরি তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে এই অর্থ পাবেন। এর জন্য মাসে মোট ৪৪ লক্ষ ৫৫ হাজার টাকা ব্যয় হবে। ভবিষ্যতে এই প্রকল্পের আওতায় আরও অনেক উপযুক্ত ব্যক্তিকে অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে,” বলেন মন্ত্রী।
মন্ত্রী আরও জানান, ‘দিব্যাঙ্গজন’ শব্দটির অর্থ হল ‘দিব্য অঙ্গ বিশিষ্ট ব্যক্তি’। ‘দিব্য’ মানে পবিত্র বা ঐশ্বরিক, আর ‘অঙ্গ’ মানে শরীরের অঙ্গ। তাই ‘দিব্যাঙ্গজন’ বলতে বোঝানো হয় এমন মানুষ, যাদের শরীরের কোনো অংশ বিশেষ ক্ষমতার প্রতীক হিসেবে দেখা উচিত, অক্ষমতার নয়। ২০১৪ সালে ভারত সরকার সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন ও সম্মান ও অন্তর্ভুক্তি বাড়ানোর লক্ষ্যে ‘বিকলাঙ্গ’ শব্দের পরিবর্তে ‘দিব্যাঙ্গ’ শব্দটি ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেয়,” বলেন রতন লাল নাথ।