জনতার কলম ওয়েবডেস্ক :- ভারতের নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনের সময় সকাল ৭টা থেকে বিকাল ৬টা পর্যন্ত ৬,৪০,৮৭,৫৮৮ জন নির্বাচক ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোটদান করে। প্রতি ঘন্টায় গড়ে ৫৮ লক্ষ ভোট পড়ে। এই গড় অনুপাত হিসেব করলে গত দুই ঘণ্টায় প্রায় ১১৬ লক্ষ নির্বাচক ভোটদান করতে পারতেন। তাই দুই ঘন্টায় ৬৫ লক্ষ নির্বাচকের ভোটদান উল্লিখিত গড় ভোটদানের তুলনায় অনেক কম। গত ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৪ আইএন.সি.-কে দেওয়া জবাবে নির্বাচন কমিশন এই তথ্য পেশ করে, যা নাকি কমিশনের ওয়েবসাইটেও দেওয়া হয়েছে। তাই বারবার এসব প্রশ্ন তোলা মানে এসব তথ্যকে উপেক্ষা করা হচ্ছে বলে মনে করে নির্বাচন কমিশন।
তাছাড়া, প্রতিটি পোলিং বুথে প্রার্থী। রাজনৈতিক দলগুলির নিযুক্ত পোলিং এজেন্টের সামনেই ভোটদান প্রক্রিয়া চলে। পরবর্তী দিন আই,এন.সি-এর নিযুক্ত প্রার্থী বা এজেন্টরাও জুটিনির সময় রিটার্নিং অফিসারের কাছে নির্দিষ্ট তথ্য সম্বলিত কোনও অভিযোগ দায়ের করেনি।
মহারাষ্ট্র সহ সারা ভারতে জনপ্রতিনিধিত্ব আইন ১৯৫০ এবং নির্বাচক নিবন্ধন আইন ১৯৬০ অনুযায়ী ভোটার তালিকা তৈরি করা হয়। নিয়ম অনুযায়ী প্রতিটি নির্বাচনের আগে কিংবা প্রতিবছর একবার ভোটার তালিকার বিশেষ সংশোধনী হাতে নেওয়া হয় এবং ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল কংগ্রেস সহ সমস্ত জাতীয় স্তরের রাজ্য স্তরের রাজনৈতিক দলগুলির কাছে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা তুলে দেওয়া হয়।
মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনের সময় ভোটার তালিকা চূড়ান্ত করার পর ৯,৭৭,৯০,৭৫২ জন নির্বাচকের নিরিখে ১ম অ্যাপিলেট অথরিটির (ডি.এম.) কাছে একমাত্র ৮৯টি আবেদন জমা পড়ে এবং ১টি আবেদন জমা পড়ে ২য় অ্যাপিলেট অথরিটির (সি.ই.ও.) কাছে। তাই এটা পরিষ্কার যে, ২০২৪-এর মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে আইএন.সি বা অন্য কোনও রাজনৈতিক দলের তেমন কোনও অভিযোগ ছিলো না।
ভোটার তালিকা সংশোধনের সময় ১,০০, ৪২৭টি পোলিং বুথের জন্য ইআর.ও.-গণ ৯৭,৩২৫ জন বি.এল.ও. নিযুক্ত করেছিলেন। রাজনৈতিক দলগুলি ১,০৩,৭২৭ জন বুথ লেভেল এজেন্ট নিয়োগ করে। তারমধ্যে শুধুমাত্র আই,এন.সি. নিয়োগ করেছিলো ২৭,০৯৯ জন এজেন্ট। তাই মহারাষ্ট্রের নির্বাচক তালিকা সম্পর্কিত এসব অযৌক্তিক অভিযোগ আইন অবমাননার সমতুল্য।
ভারতের সমস্ত নির্বাচনই আইন অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হয়। যে আকারে এবং নির্ভুলতার সাথে এখানে নির্বাচন সম্পন্ন হয় তা সারা বিশ্বে প্রশংসিত হয়ে আসছে। দেশে সবাই জানে যে, প্রতিটি নির্বাচন প্রক্রিয়া, সে ভোটার তালিকা তৈরি করা হোক বা ভোটদান ও গণনা পর্বই হোক, সবকিছুই সম্পন্ন হয় সরকারি কর্মচারীদের মাধ্যমে এবং ভোটগ্রহণ কেন্দ্র থেকে নির্বাচন ক্ষেত্র পর্যন্ত রাজনৈতিক দলগুলি দ্বারা নিযুক্ত প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে।
তাই কোনও ব্যক্তি দ্বারা এব্যাপারে ভুল তথ্য প্রচার মানে হচ্ছে আইনের অবমাননা। শুধু তাই নয়, তাদের নিজেদের রাজনৈতিক দল দ্বারা নিযুক্ত হাজার হাজার প্রতিনিধিদের প্রতিও অসম্মান প্রদর্শন করার সামিল। তাছাড়া নির্বাচনের সময় যে লক্ষ লক্ষ নির্বাচন কর্মী অক্লান্তভাবে এবং স্বচ্ছতার সাথে কাজ করেন এসব উক্তি তাদেরও হতাশ করবে।