জনতার কলম ওয়েবডেস্ক :- ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আচরণবিধি কার্যকর হওয়ার পরে প্রধানমন্ত্রী মোদী উত্তরাখণ্ডে পৌঁছেছেন এই দ্বিতীয়বার। আজ তিনি ঋষিকেশের আইডিপিএল স্পোর্টস গ্রাউন্ডে একটি নির্বাচনী সমাবেশে ভাষণ দিতে গিয়ে বলেন, কংগ্রেস উন্নয়ন ও ঐতিহ্যের বিরোধী। প্রভু রামের অস্তিত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে কংগ্রেস। কংগ্রেসই প্রথম রামমন্দিরের বিরোধিতা করেছিল। আদালতে প্রতিবন্ধকতাও সৃষ্টি করেছেন। কিন্তু রাম মন্দির নির্মাণকারীরা তার সমস্ত পাপ ক্ষমা করে তাকে বাড়িতে আমন্ত্রণ জানালেও তিনি সেই সুযোগও প্রত্যাখ্যান করেন। হিন্দু ধর্মের শক্তি এই অশুভকে ধ্বংস করবে। সম্পূর্ণ হতে দেবে না। তিনি বলেন, কংগ্রেস এখন গঙ্গার অস্তিত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলছে। তবে জনগণ অবশ্যই তাদের শিক্ষা দেবে। আমরা যদি উন্নত ভারতের স্বপ্ন পূরণ করতে চাই তবে আমাদের পদ্মফুল ফুটতে হবে। বাকিটা করার নিশ্চয়তা আমার।
তিনি বলেন, গাড়োয়াল হোক বা কুমায়ুন, মা-বোনেরা কাঠ আনতে ও চুলায় কাজ করে সময় কাটাতেন। আমরা প্রতিটি বাড়িতে সিলিন্ডার পৌঁছে দিয়েছি। জলজীবন মিশনেও কাজ হয়েছে। আজ পরিস্থিতি পাল্টেছে। আজ, উত্তরাখণ্ডের দশটি পরিবারের মধ্যে নয়টির ঘরে কলের জল রয়েছে। এমনকি রেশন ও জিনিসপত্রের জন্যও কোনো সমস্যা নেই। বিনামূল্যে রেশন ও বিনামূল্যে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
কংগ্রেসকে কটাক্ষ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কংগ্রেস যখন সরকারে ছিল, তখন গরিব ও বেকারদের টাকা মধ্যস্বত্বভোগীরা খেয়ে ফেলেছিল। আমাদের সরকার সরাসরি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা স্থানান্তর করেছে। কংগ্রেস ক্ষমতায় থাকলে এসব লুট হয়ে যেত। আমরা বন্ধ করে দিয়েছি তাই তাদের ক্ষোভ আকাশের দিকে। আমি যখন বলি দুর্নীতি দূর করো, তারা বলে দুর্নীতিবাজদের বাঁচাও।
প্রধানমন্ত্রী মোদী আরও বলেন, ‘আমাদের সরকার উত্তরাখণ্ডের সম্ভাবনাকে ক্রমাগত প্রসারিত করছে। এতে পর্যটন, ভ্রমণ ও তীর্থস্থানের বড় ভূমিকা রয়েছে। ঋষিকেশ অনেক আশেপাশের রাজ্য এবং এর জনগণের জন্য পর্যটনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র। একটা সময় ছিল যখন সারা বিশ্বে যোগব্যায়াম জনপ্রিয় ছিল না। তখনও বিশ্বের বহু মানুষ যোগের জন্য ঋষিকেশে আসতেন।
কর্মসংস্থান নিয়ে কথা বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, ‘বিজেপি সরকার উত্তরাখণ্ডে পর্যটনের প্রচার করে নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করছে। এর জন্য আমাদের ফোকাস হল উত্তরাখণ্ডের প্রতিটি কোণায় পৌঁছানো সহজ হওয়া উচিত। তাই আমরা সড়কপথ, রেলপথ ও আকাশপথের সুবিধা বৃদ্ধি করছি। কংগ্রেস উত্তরাখণ্ডের সীমান্তবর্তী গ্রামগুলিকে শেষ গ্রাম বলে ডাকত। বিজেপি তাদের প্রথম গ্রাম হিসেবে বিবেচনা করে তাদের উন্নয়ন করছে।