Site icon janatar kalam

ভগবান বুদ্ধের বাণীকে আমাদের সকলের জীবনেই প্রয়োগ করতে হবে: মুখ্যমন্ত্রী

জনতার কলম ত্রিপুরা আগরতলা প্রতিনিধি :- ভগবান গৌতম বুদ্ধ সারা বিশ্বে অহিংসা, প্রেম, করুণা ও শান্তির বাণী ছড়িয়ে দিয়েছিলেন। ভগবান বুদ্ধের এই বাণীকে পাথেয় করেই রাজ্য সরকার জনগণের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে। আজ বেণুবন বুদ্ধ বিহারে বৈশাখী বুদ্ধ পূর্ণিমা উৎসবের উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা একথা বলেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বুদ্ধ পূর্ণিমা উৎসব এখন শুধুমাত্র বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, বিশ্বের সকল শান্তিপ্রিয় মানুষের কাছে এই উৎসব তাৎপর্যপূর্ণ। বৈশাখের পূর্ণিমা তিথিতে বুদ্ধ জন্মগ্রহণ করেছিলেন, বুদ্ধত্ব লাভ করেছিলেন এবং মহাপরিনির্বাণ ঘটে বলে এই দিনটিকে ত্রয়ী আশীর্বাদ দিবস হিসেবেও পালন করা হয়ে থাকে।

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ভগবান বুদ্ধের বাণীকে আমাদের সকলের জীবনেই প্রয়োগ করতে হবে। নিজেদের আচার আচরণকে সংযত রাখতে হবে। তবেই ভগবান বুদ্ধের মার্গদর্শনের সার্থকতা আসবে। তিনি বলেন, ভারত সর্বদাই শান্তি ও অহিংসার মার্গদর্শনে বিশ্বাসী। কিন্তু দেশের উপর কোনও ধরনের আঘাত আসলে তা কঠোরভাবে মোকাবিলা করা হবে। তিনি বলেন, রাজ্যের বর্তমান সরকার ধর্মীয় পর্যটন কেন্দ্রগুলির উন্নয়নের লক্ষ্যে নানা পরিকল্পনা গ্রহণ করে কাজ করছে। এই ধর্মীয় পর্যটন কেন্দ্রগুলি রাজ্যের পর্যটন বিকাশেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। অনুষ্ঠানের শুরুতে মুখ্যমন্ত্রী ভগবান বুদ্ধের পূজার্চনা করেন। বৈশাখী বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষ্যে শিশুদের মধ্যে বসে আঁকো প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী।

অনুষ্ঠানে এছাড়া উপস্থিত ছিলেন আগরতলা পুরনিগমের মেয়র তথা বিধায়ক দীপক মজুমদার, পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার জেলাশাসক ডা. বিশাল কুমার, বিবেকনগরস্থিত রামকৃষ্ণ মিশনের সম্পাদক স্বামী শুভকরানন্দ মহারাজজী, মহাবুদ্ধি অল ত্রিপুরা ব্রাঞ্চের ডিরেক্টর পূজনীয় ধাম্মালোকা, ধম্মদীপা ইন্টারন্যাশনাল বুদ্ধিস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য পূজনীয় ড. ধাম্মাপিয়া, বেণুবন বুদ্ধ বিহারের চিফ অ্যাবট পূজনীয় খ্যামাছড়া প্রমুখ।

Exit mobile version