জনতার কলম প্রতিনিধি:- ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের আজ দ্বিতীয় দিন। এরইমধ্যে সামরিক দিক থেকে তুলনায় হীনবল ইউক্রেনের সমস্ত প্রতিরোধ ভেঙে কিয়েভ সহ বেশ কিছু শহরে ঢুকে পড়েছে। শেষ পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে যে, রুশ সেনা সুমী শহরের দিকে এগোচ্ছে। যুদ্ধে এখনও পর্যন্ত ইউক্রেনে সেনা ও সাধারণ মানুষ সহ ১৩৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরইমধ্যে সামনে এসেছে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোডিমির জেলেনস্কির বিবৃতি। তিনি বলেছেন, আগে বা পরে, রাশিয়াকে আমাদের সঙ্গে কথা বলতেই হবে। যত দ্রুত আলোচনা শুরু হবে, ক্ষয়ক্ষতি তত কম হবে। । জেলেনস্কি বলেছেন, শত্রুতার অবসানের জন্য শীঘ্রই রুশ-ইউক্রেন আলাপ-আলোচনা শুরু হবে। রাশিয়াকে আমাদের সঙ্গে কথা বলতে হবে। রাশিয়াকে আমাদের জানাতে হবে, এই শত্রুতার অবসান কীভাবে করা যেতে পারে, তাদের আক্রমণ কীভাবে বন্ধ হবে। যত দ্রুত আলাপ আলোচনা শুরু হবে, ততই লোকসান কম হবে। উল্লেখ্য, ইউক্রেনের সাংসদদের একটি গোষ্ঠী প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কিকে রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনা শুরু করার আর্জি জানিয়েছেন। পার্লামেন্টের সাত সদস্য প্রেসিডেন্ট ভোলোডিমির জেলেনস্কিকে লেখা চিঠিতে বলেছেন, ইউক্রেনে চলতি সংঘর্ষ আরও বেশিদিন চললে, তা সমস্ত পক্ষেরই গুরুতর ক্ষয়ক্ষতির কারণ হয়ে উঠতে পারে, ফলে ভবিষ্যতে বিজয়ী বলে কেউ দাবি করতে পারবে না। আমাদের লক্ষ লক্ষ সহ নাগরিক শান্তিপূর্ণ জীবন চান। সাংসদরা বলেছেন, মানব জীবন সুরক্ষিত রাখা এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে সমস্ত বিকল্পের ব্যবহারের ওপর আমরা গুরুত্ব আরোপ করছি। জেলেনস্কির মুখ্য পরামর্শদাতা বলেছেন, রাশিয়ার মূল লক্ষ্য খুবই স্পষ্ট। ইউক্রেনীয় নেতৃত্বকে হঠানো এবং যত বেশি সম্ভব আতঙ্ক ছড়ানো। রাশিয়া দেশের অংশ আলাদা করতে চায় এবং তারা প্রচুর সেনাবল নিয়ে এগোচ্ছে। আমরা কিয়েভ ও খার্কিভের মতো শহরে পরিস্থিতি সুস্থির করার চেষ্টা করছি।
উল্লেখ্য, যুদ্ধের মধ্যে ইউক্রেন রাশিয়ার ৮০০ সেনাকে মেরে ফেলার দাবি করেছে। সেইসঙ্গে রাশিয়ার ৭ বিমান, ৬ হেলিকপ্টার, ও ১৩০ সাঁজোয়া গাড়ি ধ্বংসের দাবিও করা হয়েছে। অন্যদিকে, রাশিয়া ইউক্রেনের ৮৩ সামরিক কেন্দ্র ধ্বংস করার দাবি করেছে।