জনতার কলম ওয়েবডেস্ক :- গত বছরের অগাস্টে আফগানিস্তানে ক্ষমতায় ফেরে তালিবান। শাসনভার গ্রহণ করার সঙ্গে সঙ্গেই প্রগতিশীল ব্যবস্থা চালু করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তারা। কিন্তু যত সময় গিয়েছে, ততই কড়া ভাবে আফগানিস্তানে শরিয়া আইন বলবত্ করতে দেখা গিয়েছে তালিবানকে। প্রথম পর্যায়ে মেয়েদের স্কুল যাওয়া বন্ধ হয়ে যায়।ওই সময় নারী শিক্ষার কেন্দ্রগুলিকে বন্ধ না করার জন্য তালিবান সরকারকে অনুরোধ করেন দেশের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই। কিন্তু সেই অনুরোধে কান দেয়নি তারা। এর পর ২২ ডিসেম্বর আফগান তরুণীদের বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা জারি করে তালিবান।বিশ্ববিদ্যালয়ের দরজা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বৃহস্পতিবার পথে নামেন আফগান তরুণীরা। কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে জমায়েত করেছিলেন তাঁরা।সেখানে দাঁড়িয়েই তালিবানের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন তাঁরা। অবিলম্বে ওই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানান আন্দোলনকারীরা। পরে বিক্ষোভকারীদের সেখান থেকে হটিয়ে দেয় তালিবান গার্ডরা। বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে বলে খবর পাওয়া গিয়েছে।চলতি বছরের সেপ্টেম্বর থেকে হিজাব আন্দোলনকে কেন্দ্র করে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে ইরানে।বাধ্যতামূলক হিজাব পরার আইন বাতিলের দাবিতে দেশজুড়ে শুরু হয়েছে গণবিক্ষোভ। বিক্ষোভ থামাতে গিয়ে বেশ কিছু জায়গায় ইরানি গার্ডদের বিরুদ্ধে নির্বিচারে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছে। তাতে এখন পর্যন্ত সাড়ে ৪০০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। হিজাব আন্দোলনকারী দু’জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরও করেছে ইরান। বিশেষজ্ঞদের দাবি, ইরানের মতো পরিস্থিতি এবার তৈরি হতে পারে আফগানিস্তানেও। বৃহস্পতিবারের কাবুলের আন্দোলন তারই ইঙ্গিত বহন করছে বলে দাবি করেছেন তাঁরা।