জনতার কলম ত্রিপুরা আগরতলা প্রতিনিধি :- রাজ্যের প্রধান রেফারেল হাসপাতালগুলির মতো জেলা হাসপাতালগুলিতেও এখন বিভিন্ন জটিল রোগের চিকিৎসা পরিসেবা সহ জটিল অস্ত্রোপচার সাফল্যের সঙ্গে সম্পন্ন করছেন রাজ্যের চিকিৎসকগণ। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি দক্ষিণ জেলার বিলোনীয়া মহকুমা হাসপাতালে স্ত্রী ও প্রসূতি বিভাগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকগণ এক মহিলার জটিল সমস্যার অস্ত্রোপচার সাফল্যের সঙ্গে সম্পন্ন করেন। বিলোনীয়ার রাঙ্গামুড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা জনৈকা ৩০ বৎসর বয়স্ক এক গর্ভবতী মহিলা প্রসব ব্যথা নিয়ে বিলোনীয়া মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি হন। চিকিৎসকরা মহিলাকে উন্নত চিকিৎসা পরিসেবার জন্য শান্তিরবাজার জেলা হাসপাতালে রেফার করার কথা বলেন। তাতে মহিলার পরিবার পরিজনেরা অসম্মতি জানিয়ে বিলোনীয়া মহকুমা হাসপাতালেই চিকিৎসার অনুরোধ জানান। তখন হাসপাতালের স্ত্রী ও প্রসূতি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বিকাশ মজুমদার মহিলার জরুরী ভিত্তিতে অস্ত্রোপচারের প্রয়োজনীয়তা বিবেচনা করে চিকিৎসা শুরু করেন।
বিলোনীয়া মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসক রোগীর প্রাথমিক পরীক্ষা নিরীক্ষার রিপোর্ট বিশ্লেষণ করে মহিলার রাপচার এক্টোপিক প্রেগনেন্সি চিহ্নিত করেন। এই অবস্থায় মহিলার অস্ত্রোপচার খুবই ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। এদিকে মহিলার দ্রুত শরীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকায় জরুরী ভিত্তিতে অস্ত্রোপচার করার সিদ্ধান্তটি পরিবার পরিজনদের জানান এবং দুই ইউনিট রক্তের ব্যবস্থা করার জন্য বলা হয়। এরপর স্ত্রী ও প্রসূতি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা. বিকাশ মজুমদার নিজ উদ্যোগে জরুরী ভিত্তিতে দুই ইউনিট রক্তের ব্যবস্থা করেন এবং অস্ত্রোপচারের জন্য একটি টিম গঠন করেন। এই অস্ত্রোপচারে স্ত্রী ও প্রসূতি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা. বিকাশ মজুমদার, অ্যানেস্থেসিস্ট ডা. জয়দীপ চৌধুরী সহ মহকুমা হাসপাতালের অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীদের যৌথ প্রচেষ্টায় মহিলার সফল অস্ত্রোপচার সম্পন্ন করা হয় এবং মহিলার জীবন বাঁচানো হয়। মহিলাদের গর্ভাবস্থায় এই ধরনের রাপচার এক্টোপিক প্রেগনেন্সি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ থাকে, এক্ষেত্রে সঠিক সময়ে ও দ্রুত সমস্যা চিহ্নিত না করা গেলে অথবা অস্ত্রোপচার না করলে গর্ভবতী মহিলাদের মৃত্যুর ঝুঁকি থাকে। বিলোনীয়া মহকুমা হাসপাতালে এই ধরনের চিকিৎসা পরিসেবা পেয়ে ও সফলভাবে অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হওয়ায় মহিলার পরিবার পরিজনেরা চিকিৎসক সহ সকল চিকিৎসাকর্মীদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন। স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে এক প্রেস রিলিজে এই সংবাদ জানানো হয়েছে।