জনতার কলম ওয়েবডেস্ক :- বিধানসভায় দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রকে বাংলাদেশের হিন্দু সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে হওয়া আক্রমণ ও নিগ্রহের বিরুদ্ধে নেওয়া পদক্ষেপে সমর্থন জানাবেন। বাংলাদেশে এক হিন্দু আধ্যাত্মিক নেতা, চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে সেদেশের সিডিশন (দেশদ্রোহ) মামলায় গ্রেফতার করা হয় এবং পরে তার জামিন আবেদনও খারিজ করা হয়। তারপরেই এমন মন্তব্য করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তবে এই প্রথম নয়, এর আগে বাংলাদেশে হাসিনা সরকার বিরোধী আন্দোলন প্রসঙ্গে ২১ জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে মমতা বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশ নিয়ে কোনও কথা বলতে পারি না। ওটা আলাদা দেশ। যা বলার ভারত সরকার বলবে। তবে কোনও অসহায় মানুষ যদি বাংলার দরজায় খটখট করে সেক্ষেত্রে আমরা আশ্রয় দেব। কারণ এক্ষেত্রে রাষ্ট্রসঙ্ঘের অঙ্গীকার রয়েছে, কেউ যদি উদ্বাস্তু হয়ে আসেন সেক্ষেত্রে পাশ্ববর্তী এলাকা তাঁকে সম্মান জানাবে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন আরো বলেন, তিনি এই বিষয়টি নিয়ে বাংলায় ইস্কন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছেন, তবে বিষয়টি তার প্রশাসনিক আওতার বাইরে। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে হিন্দুদের বিরুদ্ধে যা কিছু ঘটছে তা অত্যন্ত উদ্বেগজনক এবং এই ধরনের ঘটনা রোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই অবস্থান অনেকের কাছেই স্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে, কারণ তিনি বারবার বলেন যে, বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং দুই দেশের মধ্যে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে হলে সংখ্যালঘুদের প্রতি আক্রমণ বন্ধ হওয়া উচিত। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী সরকারিভাবে এই সমস্যায় হস্তক্ষেপ না করার কথা বললেও, তিনি নিশ্চিত করেছেন যে, তিনি এই ইস্যুতে জনগণের পাশে দাঁড়াবেন এবং আন্তর্জাতিক স্তরে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি মানবাধিকার সংক্রান্ত চাপ বাড়ানোর জন্য প্রয়োজনে কূটনৈতিক সমর্থন জানাবেন।
Leave feedback about this