জনতার কলম ত্রিপুরা আগরতলা প্রতিনিধি :- প্রকৃতি, বন, বন্যপ্রাণী ও জীবন একে অপরের পরিপূরক। বন্যপ্রাণী সুরক্ষিত না থাকলে প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট হবে৷ তাই বন ও বন্যপ্রাণী রক্ষা করতে হবে। বিলোনীয়া মহকুমার জয়চাদপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বন্যপ্রাণী সপ্তাহ উদযাপনের সমাপ্তি অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা একথা বলেন। বন্যপ্রাণী সপ্তাহ উদযাপন উপলক্ষে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে খেলাধুলা ও ছবি আঁকা প্রতিযোগিতার আয়োজন করায় মুখ্যমন্ত্রী সন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, এতে করে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে বন ! বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ সম্পর্কে ধারণা তৈরী হবে৷ সমাপ্তি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সমবায় মন্ত্রী শুক্লাচরণ নোয়াতিয়া, বিধায়ক স্বপ্না মজুমদার, বিধায়ক মাইলাফ্লু মগ, বন দপ্তরের প্রধান সচিব কে ভএস শেঠি প্রমুখ। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডাঃ) মানিক সাহা বলেন, ত্রিপুরায় ৭৩ শতাংশ বনভূমি রয়েছে। আমাদের রাজ্যের বনে একসময় বিভিন্ন প্রজাতির বন্যপ্রাণী ও পাখি দেখা যেত। এর বেশকিছু প্রাণী এখন বিলুপ্ত হয়ে গেছে। বন ধ্বংসের ফলেই এমন হয়েছে। তাই শুধু নিজেরাই বাচলে হবে না, বন ও ব্লাপ্রাণীদেরও রক্ষা করতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে সরকার প্রতিবছর বাইসন উৎসব, হর্ণবিল উৎসব, পরিযায়ী পাখিদের জন্য উৎসবের আয়োজন করছে। সেইসঙ্গে ব্লসৃজনের উপর গুরুত্ব দিয়ে বৃক্ষরোপন করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, বন সৃজনের মাধ্যমে বনজ সম্পদকে কাজে লাগিয়ে কর্মসংস্থানেও সরকার গুরুত্ব দিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, পর্যটন কেন্দ্রগুলিকে সরকার আকর্ষনীয় করে সাজিয়ে তুলছে। রাজ্যে দেশ-বিদেশের পর্যটকগণ আসছেন। ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেট অধিনায়ক গৌরভ গাঙ্গুলীকে ত্রিপুরার পর্যটনের বিকাশের জন্য ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর করা হয়েছে। এতে করে রাজ্যের পর্যটন কেন্দ্রগুলির কথা দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে যাবে। তিনি বলেন, তৃষ্ণা অভয়ারণা, প্রজাপতি পার্ক সহ অন্যান্য পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে শিক্ষামূলক ভ্রমণের উদ্যোগ নিতে হবে। বর্তমান রাজ্য সরকার স্বচ্ছ প্রশাসন পরিচালনার জন্য ই-বিধানসভা, , ই ক্যাবিনেট, ই-অফিস চালু করেছে। এতে বায় কমবে ও সময়ও বাঁচবে।আজ মুখ্যমন্ত্রী দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলায় ই-অফিসের উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী ছাত্রছাত্রীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। বাইসনের আক্রমণে নিহত হরিপদ শীলের স্ত্রী কবিতা শীলের হাতে ৫ লক্ষ টাকার চেক তুলে দেন। পর্যটকদের জন্য আজ একটি ই-রিক্সা চালু করেন মুখ্যমন্ত্রী। সমাপ্তি অনুষ্ঠানে অন্যান্য অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন গ্রামোন্নয়ন, শিল্প ও পর্যটন দপ্তরের সচিব কিরণ গিতো, মুখ্য বন সংরক্ষক ডা. কে । কে শশীকুমার, দক্ষিণ জেলার জেলাশাসক ও সমাহর্তা সাজু বাহিদ এ এবং দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলার পুলিশ সুপার অশেক কুমার সিংহ, ডিএফও ড. নীরজ কুমার চঞ্চল। মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা) মানিক সাহা আজ তৃষ্ণা অভয়ারণ্যের প্রজাপতি পার্কে বেশ কিছু সময় কাটান। পার্কে প্রজাপতি ছাড়েন৷ বৃক্ষ রোপনও করেন৷ প্রজাপতির বিচরণ, খাদ্য, প্রজনন সম্পর্কে খোঁজ খবর নেন। বন্যপ্রাণী সপ্তাহ উদযাপনের সমাপ্তি অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন দক্ষিণ ত্রিপুরা জিলা পরিষদের সভাধিপতি কাকলি দাস দত্ত।
Leave feedback about this