জনতার কলম আগরতলা প্রতিনিধি:- ত্রিপুরায় জাতীয় সঙ্গীত ‘বন্দে মাতরম’-এর ১৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে শুক্রবার পশ্চিম জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে মুক্তধারা অডিটোরিয়ামে আয়োজিত হয় এক বিশেষ উদযাপন অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যুৎ, কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী রতনলাল নাথ এবং রাজ্যসভার সাংসদ রাজীব ভট্টাচার্য। 

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মন্ত্রী রতনলাল নাথ বলেন, “১৮৭৫ সালে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত ‘বন্দে মাতরম’ আজও কোটি ভারতবাসীর হৃদয়ে দেশপ্রেম জাগিয়ে রাখে। এটি কেবল একটি গান নয়, এটি আমাদের জাতীয় চেতনার প্রতীক, ঐক্যের অঙ্গীকার ও স্বাধীনতার প্রেরণার উৎস।” তিনি নবপ্রজন্মকে ‘বন্দে মাতরম’-এর ভাবনা ও ঐতিহ্য গভীরভাবে উপলব্ধি করার আহ্বান জানান।
মন্ত্রী রতন লাল নাথ স্কুল শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করে ‘বন্দে মাতরম’-এর ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন এবং তাদেরকে গানটির মর্ম অনুধাবনের আহ্বান জানান।
শেষে তিনি বলেন, “আসুন আমরা সকলে মিলে এই উদযাপনে অংশ নিই এবং ‘বন্দে মাতরম’-এর বার্তা প্রতিটি বাড়ি, প্রতিটি বিদ্যালয়, প্রতিটি হৃদয়ে পৌঁছে দিই।”
রাজ্যসভার সাংসদ রাজীব ভট্টাচার্য তাঁর বক্তৃতায় বলেন, “বঙ্কিমচন্দ্র শুধুমাত্র শব্দের রচয়িতা নন, তিনি এমন এক দূরদর্শী চিন্তাবিদ, যিনি ঐক্যবদ্ধ ও আত্মমর্যাদাসম্পন্ন ভারতের স্বপ্ন দেখেছিলেন।” তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে দেশের ঐতিহ্যের প্রতি শ্রদ্ধা ও নতুন প্রজন্মের মধ্যে দেশপ্রেম জাগ্রত করার প্রচেষ্টাকে প্রশংসা করেন।
রাজীব ভট্টাচার্য বলেন, “আজ ভারত বিশ্বমঞ্চে স্বমহিমায় প্রতিষ্ঠিত। স্বাধীনতা সংগ্রামীদের অবদানকে সম্মান জানাতে ‘বন্দে মাতরম’-এর এই জাতীয় উদযাপন এক নতুন প্রেরণা যোগাচ্ছে।”
অনুষ্ঠানে পশ্চিম ত্রিপুরা জেলা শাসক ড. বিষাল কুমার, পশ্চিম জেলা সভাধিপতি বিশ্বজিৎ শিলসহ অন্যান্য বিশিষ্ট অতিথিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।