জনতার কলম ওয়েবডেস্ক :- সল্টলেকে চাকরিহারা তিন জন অনশনে বসেছেন। শনিবার সেই অনশনের তৃতীয় দিন। অন্য দিকে, গান্ধীমূর্তির পাদদেশে চাকরিহারাদের অবস্থান কর্মসূচি শুরু হয়েছে শনিবার থেকে। এক দিকে চাকরিহারাদের তিন জন প্রতিনিধি অনশনে বসেছেন। বৃহস্পতিবার থেকে সল্টলেকে এসএসসি ভবনের সামনে তাঁরা না-খেয়ে ঠায় বসে আছেন।
সঙ্গে রয়েছেন কয়েক জন সহযোদ্ধা। আর অন্য দিকে শহিদ মিনারের কাছে গান্ধীমূর্তির পাদদেশে অবস্থানে বসেছেন চাকরিহারাদেরই আর এক অংশ। দাবি উভয় ক্ষেত্রেই এক চাকরি ফিরিয়ে দেওয়া। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের ফলে যে চাকরি চলে গিয়েছে, সসম্মানে সেই পদেই আবার ফিরিয়ে দিতে হবে।
রাজ্য সরকার-সহ সব পক্ষের কাছে এই আর্জি জানিয়েছেন চাকরিহারারা। শুক্রবার তাঁদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বিকাশ ভবনে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু প্রায় তিন ঘন্টা বৈঠক করেছেন। তার পরেও অবস্থান চলছে। শহিদ মিনারের সামনে যাঁরা বসেছেন, তাঁদের মধ্যে থেকে ১৩ জন শুক্রবার ব্রাত্যের বৈঠকে গিয়েছিলেন।
এই ১৩ জনের মধ্যে ছিলেন শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং শিক্ষাকর্মীদের প্রতিনিধি। বৈঠক শেষে বেরিয়ে তাঁরা জানান, তাঁদের দাবি অনুযায়ী সরকার যোগ্য প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশে রাজি হয়েছে। আইনি পরামর্শ নিয়ে ২১ এপ্রিলের মধ্যে ওই তালিকা প্রকাশ করা হবে। সরকারের এই আশ্বাসে আপাতত কিছুটা স্বস্তি পেয়েছেন চাকরিহারাদের একাংশ।
তবে তাঁরা এখনই নিশ্চিন্ত হতে পারছেন না। কারণ চাকরি ফেরতের কোনও নিশ্চয়তা মেলেনি। শুক্রবার রাতেই নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে চাকরিহারা প্রার্থীরা জানান, গান্ধীমূর্তির পাদদেশে শনিবার থেকে তাঁদের অবস্থান চলবে। যত ক্ষণ না পর্যন্ত যোগ্য ও অযোগ্যদের তালিকা প্রকাশ করা হচ্ছে এবং ২২ লক্ষের ওএমআর শিটের মিরর ইমেজ ওয়েব সাইটে প্রকাশ করা হচ্ছে তত ক্ষণ অবস্থান প্রত্যাহার করবেন না তাঁরা।
কলকাতার পাশাপাশি দিল্লিতেও অবস্থানের পথে হাঁটবেন তাঁরা। চাকরিপ্রার্থীদের বক্তব্য, আগামী ১৬ এপ্রিল থেকে দিল্লির যন্তরমন্তরেও অবস্থান বিক্ষোভ শুরু হবে। সেই কর্মসূচিতে অংশ নেবেন অন্তত ১৫০ জন চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং শিক্ষাকর্মী।
এসএসসি ভবনের সামনে চাকরিহারাদের একাংশ অনশন শুরু করেছেন। বৃহস্পতিবার থেকে অনশনে রয়েছেন সুমন বিশ্বাস, পঙ্কজ রায় এবং প্রতাপ রানা। তাঁদের সঙ্গে সহযোদ্ধারাও কয়েক জন বসে আছেন। ‘মিরর ইমেজ’ প্রকাশের দাবিতে এই অনশন চলছে।
Leave feedback about this