Site icon janatar kalam

নতুন ফৌজদারি আইন দ্রুত বাস্তবায়নে ত্রিপুরা সরকার একযোগে কাজ করছে: মুখ্যমন্ত্রী

জনতার কলম আগরতলা প্রতিনিধি :-বুধবার হাঁপানিয়া আন্তর্জাতিক মেলা প্রাঙ্গণের ইন্ডোর এক্সিবিশন হলে ৫ দিনব্যাপী বিশেষ প্রদর্শনী উদ্বোধন করেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা) মানিক সাহা। এই প্রদর্শনীতে নতুন তিনটি ফৌজদারি আইন –

১. ভারতীয় ন্যায় সংহিতা

২. ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা

৩. ভারতীয় সাক্ষ্য অধিনিয়ম

সম্পর্কিত স্টল তুলে ধরেছে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সরকারি দপ্তর। প্রদর্শনীটি আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে খোলা থাকবে।

মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা) মানিক সাহা বলেন, দেশের ঔপনিবেশিক আমলের তিনটি পুরনো আইন পরিবর্তন করে গত ১ জুলাই, ২০২৪ থেকে এই নতুন আইনগুলো চালু হয়েছে। তার লক্ষ্য সাধারণ জনগণকে নতুন আইন সম্পর্কে সচেতন করে দ্রুত ও সুষ্ঠু ন্যায়বিচয় নিশ্চিত করা। তিনি জানান, নাগরিক পরিষেবায় সরলীকরণ করা হচ্ছে যাতে সকলের জন্য ন্যায়বিচয় দ্রুত এবং সহজলভ্য হয়।

উল্লেখযোগ্যভাবে, এই তিনটি নতুন ফৌজদারি আইনের মধ্যে রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ সুবিধা –

✔️ সময়মতো বিচার প্রদান

✔️ অযথা হয়রানি বন্ধ

✔️ ফরেন্সিক ও ডিজিটাল প্রযুক্তির গুরুত্ব বৃদ্ধি

✔️ শিশু, মহিলা ও ৬০ বছরের উর্ধ্ব ব্যক্তিদের বিশেষ সুরক্ষা।

 

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সভাপতিত্বে পূর্বে গুয়াহাটিতে অনুষ্ঠিত সভার পর রাজ্য সরকার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে সক্ষম হয়েছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি আরও উল্লেখ করেন, বর্তমানে রাজ্য সমগ্র ভারতের মধ্যে নাগরিক পরিষেবা ও ব্যবসায়িক পরিবেশ গড়ে তুলতে প্রথম সারিতে রয়েছে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মুখ্যসচিব জে. কে. সিনহা বলেন, দৃঢ়তা ও একাগ্রতার সঙ্গে কাজ করলে সফলতা সম্ভব।রাজ্য পুলিশ মহানির্দেশক অনুরাগ বলেন, নতুন আইনগুলি নাগরিকবান্ধব ও সহজবোধ্য, যা সাধারণ নাগরিকদের জন্য আইন ব্যবস্থাকে আরও গ্রহণযোগ্য করে তুলবে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক মিনারাণী সরকার, অতিরিক্ত পুলিশ মহানির্দেশক জি.এস. রাও ও এম. রাজা মুরুগন, স্বরাষ্ট্র দপ্তরের সচিব অভিষেক সিং সহ অন্যান্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী, আশাকর্মী ও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীগণ।

প্রদর্শনী স্টল ঘুরে দেখেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা) মানিক সাহা সহ অন্যান্য অতিথিরা। এই প্রদর্শনীর মাধ্যমে নতুন ফৌজদারি আইনগুলোর সম্পর্কে সাধারণ জনগণের মধ্যে যথাযথ সচেতনতা সৃষ্টি ও দ্রুত ন্যায়বিচয় প্রদানের ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখার প্রত্যাশা করা হচ্ছে।

Exit mobile version