জনতার কলম ত্রিপুরা আগরতলা প্রতিনিধি :- প্রকল্প অনুমোদন দিয়ে ঘরে বসে থাকলেই হয় না। বাস্তবে কতটুকু রূপায়ণ হয়েছে সেটা খতিয়ে দেখতে ময়দানে নামতে হয়। তেমনি বিল্ডিং তৈরি করলেই হয় না সেগুলি পরিচর্যার জন্যও তদারকির প্রয়োজন। বললেন মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা: মানিক সাহা। শীততাপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষে বসে শুধু প্রকল্পের অনুমোদন দিলেই চলবে না। ঘুরে দেখতে হবে প্রকল্পের অগ্রগতি। তার জন্য প্রয়োজন ফিল্ড ভিজিট। ফিল্ড ভিজিট করলেই কাজের অগ্রগতি জানা যায়। পাশাপাশি উন্নয়ন কাজের ভুল ত্রুটি গুলিও চিহ্নিত করে শুধরে দেওয়া যায়। সম্প্রতি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডাক্তার মানিক সাহা। শহরের বিভিন্ন পুরনো অফিস বাড়ি, বিভিন্ন হল ও নতুন অনুমোদিত প্রকল্পের কাজ খতিয়ে দেখতে সরজমিনে পরিদর্শনে বের হয়েছেন। বৃহস্পতিবার সকালে বেরিয়ে মুখ্যমন্ত্রী রাজধানীর আইজিএম চৌমুহনীতে অবস্থিত মুক্তধারা অডিটোরিয়ামের সংস্কারযোগ্য বিভিন্ন জিনিস খতিয়ে দেখেন। পাশাপাশি উপস্থিত আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছেন, হলের পরিকাঠামো ঠিক করে আধুনিক ভাবে সাজিয়ে তোলার জন্য। মুক্তধারা অডিটরিয়াম পরিদর্শনের পর মুখ্যমন্ত্রী চলে যান বনমালী পুরস্থিত নজরুল কলাক্ষেত্রে। সেখানে নজরুল কলাক্ষেত্রেরও সংস্কার করার জন্য আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছেন। পরিদর্শন করেন সত্যজিৎ রায় ফিল্ম ইনস্টিটিউট, ললিত কলাক্ষেত্র, ড্রামা ডিভিশন। কথা বলেন সত্যজিৎ রায় ফিল্ম ইনস্টিটিউট এর ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে। তাদের দাবি মেনে ছয় মাসের কোর্স চালু করার বিষয়ে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করবেন বলে মুখ্যমন্ত্রী জানান। তারপরেই সোজা চলে যান গোর্খাবস্তিস্থিত অফিস কমপ্লেক্সের নতুন বিল্ডিং এর রূপরেখা তৈরির কাজ খতিয়ে দেখতে। মুখ্যমন্ত্রী জানান আগামী ২ আড়াই বছরের মধ্যে গোর্খাবস্তির সমস্ত অফিস একই ছাদের নিচে নিয়ে আসা হবে। এখান থেকে মুখ্যমন্ত্রী চলে যান নর্সিংগর স্থিত ফরেনসিক ল্যাবে। ফরেনসিক ল্যাব পরিদর্শন শেষে সোজা চলে যান টি আই টি কমপ্লেক্সে। সেখানে পলিটেকনিক কলেজের নতুন বিল্ডিং তৈরির কাজ খতিয়ে দেখেন। কথা বলেন কাজের বরাত পাওয়া ঠিকাদার এই সংস্থার কর্মকর্তাদের সঙ্গে। নির্দেশ দিয়েছেন গুণগত মান বজায় রেখে সময়ের কাজ যাতে সময় শেষ করা হয়।