Site icon janatar kalam

সীমান্তে সন্ত্রাস বরদাস্ত করব না’, এসসিও-র বৈঠকে বিলাবলকে কড়া বার্তা ভারতের

জনতার কলম ওয়েবডেস্ক :- শুক্রবার গোয়ায় এসসিও কাউন্সিলের বিদেশমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে উপস্থিত হওয়া পাক বিদেশমন্ত্রী বিলাবল ভুট্টো জ়ারদারির সঙ্গে প্রথা মেনে করমর্দন করলেন না দেশের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।উল্টে ভারতীয় প্রথা অনুসারে নমস্কার করেন জয়শঙ্কর। পাল্টা প্রতিনমস্কার করেন বিলাবলও।গোয়ার রাজধানী পানাজিতে বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়েছে এসসিও কাউন্সিলের বৈঠক। দু’দিনের এই বৈঠক চলবে শুক্রবার পর্যন্ত। এসসিও গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির বিদেশমন্ত্রীদের এই সম্মেলনে উপস্থিত থাকার জন্য আয়োজক দেশের কর্মকর্তা হিসাবে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন জয়শঙ্কর। বিলাবলকেও তিনিই আমন্ত্রণ জানান। বৃহস্পতিবারই উচ্চপদস্থ পাক আধিকারিকদের নিয়ে ভারতে আসেন বিলাবল। পাক বিদেশ মন্ত্রকের তরফে প্রকাশিত একটি ভিডিয়োয় বেনজ়ির ভুট্টোর পুত্রকে বলতে শোনা যায়, ‘গোয়ায় এসসিও কাউন্সিলের বৈঠকে আসতে পেরে খুব ভাল লাগছে। আশা করছি এই সম্মেলন সফল হবে।’ ভারতের বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর ‘গঠনমূলক আলোচনা’ হবে বলেও আশাপ্রকাশ করেছিলেন বিলাবল। গত ১২ বছরে বিদেশমন্ত্রী বা সমতুল্য পদমর্যাদার কোনও পাক আধিকারিক ভারতে পা দেননি। দীর্ঘ সময় পরে ভারতে এলেন পাকিস্তানের কোনও বিদেশমন্ত্রী।পাকিস্তানের তরফে বিলাবলের সফর প্রসঙ্গে আগেই বলা হয়েছিল, এসসিও গোষ্ঠীর প্রতি তাদের দায়বদ্ধতার কথা মাথায় রেখেই তারা এই বৈঠকে যোগদান করবে। এই বিলাবলই গত ডিসেম্বরে রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে যোগ দিয়ে বলেছিলেন, ”ওসামা বিন লাদেন নিহত হয়েছেন। কিন্তু গুজরাতের কসাই এখনও জীবিত। তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।” ১৬ ডিসেম্বর, বাংলাদেশ যুদ্ধে ভারতীয় সেনার নেতৃত্বাধীন যৌথ বাহিনীর বিজয় দিবসে আমেরিকার মাটিতে দাঁড়িয়ে পাক বিদেশমন্ত্রীর ওই মন্তব্যের পরেই চড়ে রাজনৈতিক উত্তেজনার পারদ।বিদেশ মন্ত্রকের বিবৃতিতে পাক বিদেশমন্ত্রীকে মনে করিয়ে দেওয়া হয়, বিলাবলের দাদু জুলফিকর আলি ভুট্টোর প্রধানমন্ত্রিত্বের সময়ই পাক সেনা ধর্ষণ, হত্যালীলা চালিয়েছিল পাকিস্তানে। অন্য দিকে, বিলাবলের মন্তব্যের বিরুদ্ধে নয়াদিল্লির পাক দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভও দেখায় বিজেপির যুব মোর্চা। অবশ্য এত কাণ্ডের পরেও নিজের মন্তব্যে অনড় থাকেন বিলাবল। তিনি বলেন, ‘পাকিস্তানকে ভয় দেখানোর জন্যই যদি এ সব করা হয়ে থাকে, তবে কোনও লাভ হবে না।’ তিনি এ-ও বলেন যে, ‘আমরা মোদীকে ভয় পাই না, আমরা আরএসএসকে ভয় পাই না, আমরা বিজেপিকেও ভয় পাই না।’ বিলাবলের মন্তব্যের পরই পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে যে শৈত্য চলছিল, তা আরও দীর্ঘায়িত হয়।

Exit mobile version