জনতার কলম ত্রিপুরা আগরতলা প্রতিনিধি :- তৃণমূল কংগ্রেসের জাতীয় দলের মর্যাদা কেড়ে নিল জাতীয় নির্বাচন কমিশন। একই সঙ্গে শরদ পাওয়ারের এনসিপি এবং বাম দল সিপিআইয়ের সর্বভারতীয় রাজনৈতিক দল হিসাবে আর মর্যাদা রইল না। বরং অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টিকে জাতীয় দল হিসাবে ঘোষণা করল জাতীয় নির্বাচন কমিশন। গত সপ্তাহে এ ব্যাপারে কর্নাটক হাইকোর্ট একটি নির্দেশ দিয়েছিল। উচ্চ আদালত জানিয়ে দিয়েছিল এ ব্যাপারে ১৩ এপ্রিলের মধ্যে সিদ্ধান্ত ঘোষণা করতে নির্বাচন কমিশনকে। তবে নির্বাচন কমিশন এর অনেক আগে থেকে তত্পরতা শুরু করেছিল। গত বছর জুলাই মাসে তৃণমূল কংগ্রেস, এনসিপি এবং সিপিআইকে চিঠি পাঠিয়ে কমিশন বলেছিল, তোমাদের জাতীয় দল হিসাবে মর্যাদা কেন কেড়ে নেওয়া হবে না? ইলেকশন সিম্বল (রিজারভেশন অ্যান্ড অ্যালটমেন্ট) অর্ডার ১৯৬৮ অনুযায়ী কোনও আঞ্চলিক দল যদি চারটি বা তার বেশি রাজ্যে স্বীকৃত রাজনৈতিক দল হয়, তা হলে জাতীয় দল হিসাবে মর্যাদা পেতে পারে। অর্থাত্ কোনও রাজনৈতিক দল যদি চারটি বা তার বেশি রাজ্যে লোকসভা কিংবা বিধানসভা নির্বাচনে মোট প্রদত্ত ভোটের ৬ শতাংশ পায় তা হলে তাকে জাতীয় দল বলা যেতে পারে। তবে এক্ষেত্রে একটা শর্ত রয়েছে ওই রাজনৈতিক দলকে লোকসভা ভোটে অন্তত ৪ টি আসনে জিততে হবে এবং লোকসভা ভোটে মোট প্রদত্ত ভোটের ২ শতাংশ পেতে হবে।নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, নতুন রাজনৈতিক দল হিসাবে আম আদমি পার্টি এই শর্তপূরণ করছে। কারণ, দিল্লির পাশাপাশি পাঞ্জাবেও তারা সরকারের রয়েছে। গোয়া ভোটে তারা ৬.৭৭ শতাংশ ভোট পেয়েছে। গুজরাতে বিধানসভা নির্বাচনেও আপ ভোট পেয়েছিল ১২.৯১ শতাংশ।পশ্চিমবঙ্গে গত বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস বিপুল ব্যবধানে জয় লাভ করেছিল। মোট প্রদত্ত ভোটের ৪৮.০২ শতাংশ ভোট পেয়েছিল তৃণমূল। সেই সাফল্যে সওয়ার হয়ে গোয়া, ত্রিপুরা ও মেঘালয়ের নির্বাচনে প্রার্থী দিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু বাংলার বাইরে একমাত্র মেঘালয় ছাড়া সাফল্য পায়নি।মহারাষ্ট্রে এনসিপির ক্ষমতা সীমিত। তার বাইরেও আর কিছু নেই। আর সিপিআই অনেক দিন আগেই অঙ্কের হিসাবে জাতীয় দলের মর্যাদা হারিয়ে ফেলেছিল। কিন্তু নির্বাচন কমিশন উদ্যোগী হয়ে তা এতদিন খারিজ করেনি। এবার তা করে দিল কমিশন।