জনতার কলম ওয়েবডেস্ক :- এক নতুন রণকৌশল। পথ দেখিয়েছিলেন প্রয়াত চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ বিপিন রাওয়াত। চিন ও পাকিস্তান সীমান্তে আরও আক্রমণাত্মক বাহিনী তৈরির জন্য রকেট ফোর্স তৈরী করছে ভারত। নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করতে নানা রকম ব্যবস্থাও নিতে চলেছে ভারত। প্রয়াত সিডিএস বলেছিলেন, চিনের আগ্রাসী মনোভাবের সামনে শক্ত প্রতিপক্ষ হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করবে দেশ। সেই পথেই এগোচ্ছে দেশের বাহিনী।
বিপিন রাওয়াত বলেছিলেন, চিনের ছায়ায় লড়াই করছে পাকিস্তান। তাদের মদতেই অশান্তি তৈরি হচ্ছে জম্মু-কাশ্মীরে। লাদাখ শুধু নয়, ভারতের পূর্ব উপকূলেও আধিপত্য বিস্তার করতে চাইছে চিন। সেই জন্য ভারতের বায়ুসেনার শক্তি বাড়াতে চেয়েছিলেন প্রয়াত সিডিএস।
যদিও রকেট ফোর্স তৈরিতে ভারত ঠিক কী পরিকল্পনা ছিল তা বিস্তারিত বলেননি বিপিন রাওয়াত। তবে সূত্রের খবর, বায়ুসেনাকে নিয়েই তৈরি হবে রকেট বাহিনী। তার জন্য আগাম প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। প্রলয় ক্ষেপণাস্ত্র সেই প্রস্তুতির প্রথম ধাপ।
সেনার হাতে ক্ষেপণাস্ত্রগুলি তুলে দেওয়ার জন্য এগুলি তৈরির কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। প্রলয় ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা ১৫০ থেকে ৫০০ কিলোমিটার, অর্থাত্, ১৫০ থেকে ৫০০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে। এই মিসাইলের বিশেষত্ব হল এটিকে অন্য কোনও মিসাইল দিয়ে খুব সহজে ধ্বংস করা যায় না। একবার লক্ষ্য়বস্তুতে নিশানা করলে এর গতি রোধ করা সম্ভব নয়। শত্রু ঘাঁটি তছনছ করে তবেই থামবে। আকাশেই বদলে ফেলা যায় টার্গেট। প্রলয়কে যাতে ট্র্যাক করা না যায়, তার জন্য বিশেষ প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে এই মিসাইলে। বায়ুসেনা ও সেনাবাহিনীকে এই ক্ষেপণাস্ত্র দেওয়া হবে। লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা ও পাক সীমান্তে নিয়ন্ত্রণ রেখায় মোতায়েন করা হবে এই ক্ষেপণাস্ত্র। এগুলিই চালনা করবে সেই বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত রকেট বাহিনী। পূর্ব লাদাখের পর সম্প্রতি অরুণাচলে তাওয়াংয়ে হামলা করেছে চিনের সেনা। এখন অরুণাচলের তাওয়াংয়ে আধিপত্য বিস্তার করতে মরিয়া চিন। ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলেও ক্রমশ বাড়ছে চিনা সক্রিয়তা। তাই এই সময় ভারতীয় বাহিনীর শক্তি বাড়াতে আরও উন্নত অস্ত্রশস্ত্র তৈরি হচ্ছে। সেই সঙ্গে বিশেষ ক্ষমতাসম্পন্ন বাহিনী তৈরির দিকেও ঝুঁকেছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক।