জনতার কলম ওয়েবডেস্ক :- আবারো ফিরছে সেই করোনা আতঙ্ক। চিনে নতুন করে করোনা মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। করোনার বাড়বাড়ন্ত নতুন করে সেদেশে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। গত তিন বছরের তুলনায় সবথেকে ভয়ঙ্কর করোনা পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছে চিন। বিশেষজ্ঞদের মতে, আগামী ৯০ দিনে চিনে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা সর্বাধিক হতে পারে। আমেরিকার ইন্সটিটিউট অব হেলথ ম্যাট্রিক্স অ্যান্ড এভিলিউশন নামে এক সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আগামী এপ্রিলে চিনে প্রায় ৩ লক্ষ মানুষের মৃত্যুর সম্ভবনা রয়েছে। তবে, শুধু চিনে নয়, অন্যান্য দেশেও ফের মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে করোনা।
এদিকে, চিনে যখন এই পরিস্থিতি, ঠিক তখন ভারতেও ঢুকে পড়ল আতঙ্ক। ইতিমধ্যেই ভারতে ঢুকে পড়েছে নয়া কোভিড ভ্যারিয়ান্ট। ভারতে হদিশ মিলেছে অতি সংক্রামক কোভিড ভ্যারিয়ান্ট BF.7-এর। জানা গিয়েছে, ভারতে ৪ জনের শরীরে এই নতুন প্রজাতির করোনার হদিশ মিলেছে। দেশে করোনার এই নয়া অতি সংক্রামক প্রজাতির হদিশ মিলতেই নড়েচড়ে বসেছে কেন্দ্র। কেন্দ্রের পক্ষ থেকে এই নয়া স্ট্রেনের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া রুখতে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। বিমানবন্দরে বিদেশ থেকে আগত যাত্রীদের র্যাপিড টেস্টের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। পাশাপাশি সমস্ত রাজ্যগুলিকে সতর্ক করা হয়েছে। বুধবারই করোনা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে বিভিন্ন রাজ্যের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য। এবার খোদ প্রধানমন্ত্রী বৈঠকে বসলেন। বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী করোনা পরিস্থিতি পর্যালোচনায় জরুরি বৈঠকে বসছেন। বৈঠকে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের শীর্ষ আধিকারিকরাও উপস্থিত থাকতে পারেন বলেই জানা গিয়েছে। এদিকে, এখনও পর্যন্ত ভারতে চারজনের শরীরে মিলেছে করোনার নয়া প্রজাতির অস্তিত্ব। এঁদের মধ্যে দুজন ওড়িশার এবং দুজন গুজরাটের বাসিন্দা। জনবহুল স্থানে ফের একবার মাস্ক পরার নির্দেশিকা জারি হয়েছে। শুধু তাই নয়, শোনা যাচ্ছে, রাজধানী দিল্লিতে আরও বেশ কয়েকজন এই নয়া ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হয়ে থাকতে পারেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে সরকারের তরফে। তাই পরিস্থিতি যাতে হাতের বাইরে চলে না যায়, সেট নিশ্চিত করতেই বৃহস্পতিবার জরুরি বৈঠকে বসেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।