জনতার কলম ওয়েবডেস্ক :-কোভিড পরিস্থিতির কারনে বন্ধ হয়ে যাওয়া কমলাসাগর এবং দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলার শ্রীনগরের সীমান্ত হাট দুটি পুনরায় চালু করার দাবি উত্থাপন করলেন সাংসদ বিপ্লব কুমার দেব। তার পাশাপাশি প্রস্তাবিত সীমান্ত হাট গুলির কাজ দ্রুত বাস্তবায়নেরও দাবি জানান l যেখানে বিগত দিনে, ত্রিপুরার সাংসদরা রাজ্যের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সংসদে দাবি রাখা ছিল প্রায় বহু প্রতিক্ষিত বিষয়, সেখানে প্রতিদিন রাজ্যের প্রাপ্তি ও দেশের বিভিন্ন সংবেদনশীল বিষয় নিয়ে সরব সরব হচ্ছেন বিপ্লব কুমার দেব l দাবির স্বপক্ষে শ্রী দেব বলেন, এই সীমান্ত হাট গুলি পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্র বিন্দু এবং বহু মানুষের জীবন-জীবিকার উৎস l এখানে দুই দেশের স্থানীয় দোকানীরা এসে তাদের স্থানীয় পণ্য বিক্রি করেন l দুই দেশের মানুষ নির্ধারিত নিয়মাণুসারে পণ্য ক্রয় করেন l কোভিড পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর মেঘালয়ের অধীন সীমান্ত হাট খোলা হলেও, ত্রিপুরার এই দুটি সীমান্ত হাট খোলা হয়নি। এ ব্যাপারে ত্রিপুরা সরকারের শিল্প দপ্তরের তরফে, কেন্দ্রীয় সরকারকে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রককে পত্রযোগে,বাংলাদেশ সরকারের সাথে আলোচনাক্রমে বিষয়টিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের আবেদন জানানো হয়েছে l তিনি বলেন, বর্ডার হাটের কার্যক্রম দেখার জন্য জয়েন্ট বর্ডার হাট কমিটি রয়েছে l যেখানে দুই দেশের সংশ্লিষ্ট জেলার আধিকারিকরা এর সাথে যুক্ত থাকেন। ত্রিপুরার পক্ষে, সীমান্ত হাট খুলতে আগ্রহী হলেও, বাংলাদেশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি l সে দেশের তরফে, সীমান্ত হাট না খোলার বিষয়ে কোন কারণও জানানো হয়নি। এতে স্থানীয় অনেক মানুষের জীবন-জীবিকা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তাই এ বিষয়ে, আলোচনা ও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ ক্রমে, দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণে শিল্প মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন l একই সঙ্গে কমলপুর ও ধর্মনগরে সীমান্ত হাটের কাজ দ্রুত শুরু করার জন্যও দাবি জানান l তার আগে, বিষাক্ত মদ্যপানে, বিহারে মৃত্যুর মিছিল প্রসঙ্গে সংসদে সুর চড়ালের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা সাংসদ বিপ্লব কুমার দেব l এদিন, হাউজের দৃষ্টি আকর্ষণ করে, নীতিশ সরকারের ভূমিকার, তীব্র সমালোচনা করেন l তিনি বলেন এই বিষাক্ত মদ পান করে, অনেক গরিব মানুষের মৃত্যু হয়েছে l বিষয়টিকে অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে দেখার জন্য আবেদন জানান l হাউজে উপস্থিত অধিকাংশ সদস্যরাও শ্রী দেবের সাথে, এই ঘটনার প্রতিবাদে সুর চড়ান l সামাজিক মাধ্যমে, শ্রী দেব লিখেন, ” মদ নিষিদ্ধ দাবি করা বিহার সরকারের পরোক্ষ প্রশ্রয়ে রাজ্যজুড়ে অবৈধ বিষাক্ত মদের কারখানা! বিষমদে মৃত্যুমিছিল, নীতীশ কুমার সরকারের চরম ব্যর্থতার নজির l ” উল্লেখ্য, বিহারের সারণে বিষমদে প্রায় ৪০ জনের মৃত্যু হয়েছে। বিজেপি এই ইস্যুতে হাউজের ভিতরে ও বাইরে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারকে ক্রমাগত আক্রমণ করে চলেছে। প্রথম সাংসদ হিসেবে একের পর এক বক্তব্যে প্রশংসা কুড়িয়েছেন তিনি l এদিনও বিজেপি সাংসদদের মধ্যে থেকে, বিপ্লব কুমার দেব এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন l অন্যদিকে নীতীশ কুমার বলেছেন, ‘বিষমদ খেলে তো মরবেই, মানুষকে সতর্ক হতে হবে।’ এই বক্তব্যে দেশজুড়ে আরো সমালোচনার ঝড় উঠেছে l মদ নিষিদ্ধ নীতীশ কুমারের বিহারে, এত সংখ্যায় মৃত্যুর পাশাপাশি অনেক জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এর আগেও, বিষমদ পানে, মৃত্যু হয়েছে বিহারে l