জনতার কলম ওয়েবডেস্ক :- গুজরাত ও হিমাচলপ্রদেশের ভোট সাঙ্গ হতেই আগামী বছরের একাধিক বিধানসভা নির্বাচন ও দু’বছর বাদে হতে যাওয়া লোকসভার প্রস্তুতিতে কোমর বেঁধে নেমে পড়লেন নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহেরা। আজ দিল্লিতে দলীয় কার্যালয়ে দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে নরেন্দ্র মোদী রাজ্যওয়াড়ি দলকে শক্তিশালী করার পাশাপাশি আগামী এক বছর ধরে দেশে হতে চলা জি-২০ সম্মেলনকে সামনে রেখে প্রচারে নামার নির্দেশ দিয়েছেন দলকে।
সূত্রের মতে, বৈঠকে প্রতিটি রাজ্যে বুথ সংগঠন, মণ্ডল কমিটি পর্যায়ে শক্তিশালী করার উপরে জোর দেওয়া হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের মতো বেশ কিছু রাজ্যে এখন বুথ পর্যায়ে সংগঠন খাতায়-কলমে থাকলেও, বাস্তবে নেই। সেই সব রাজ্যগুলিকে দ্রুত সংগঠন শক্তিশালী করার উপরে জোর দিয়েছেন মোদী। সূত্রের মতে, বুথ পর্যায়ের পাশাপাশি প্রতিটি রাজ্যকে ‘পন্না প্রমুখ’ কমিটি গড়ার উপরে আজকের বৈঠকে জোর দেওয়া হয়েছে। মূলত একটি বুথের ভোটার লিস্টে থাকা একটি বা দু’টি পাতার দায়িত্বে থাকেন ওই ‘পন্না প্রমুখেরা’। কোনও একটি বুথের প্রতিটি পরিবারের প্রতিটি ভোটারের কাছে পৌঁছনোর দায়িত্বে থাকেন কর্মীরা। বিজেপিশাসিত রাজ্যগুলির মধ্যে গুজরাতে দীর্ঘ দিন সফল ভাবে কাজ করছে ‘পন্না প্রমুখেরা’। তাই গুজরাত মডেলকে সামনে রেখে প্রতিটি রাজ্যে ‘পন্না প্রমুখদের’ নিয়োগেও জোর দেওয়া হয়েছে বৈঠকে।
এ দিনের বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গ থেকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তী, দিলীপ ঘোষেরা। পরে দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন, সাংগঠনিক প্রস্তুতি নিয়ে মূলত বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। সূত্রের মতে, বৈঠকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের রাজ্যে গিয়ে আরও বেশি করে জনসংযোগের উপরে জোর দেওয়া হয়েছে। আগামী বছর কর্নাটক, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, ছত্তীসগঢ়, মেঘালয়, ত্রিপুরা, অরুণাচলপ্রদেশ, মিজোরামের মতো রাজ্যগুলিতে নির্বাচন রয়েছে। এর মধ্যে কর্নাটক, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তীসগঢ়, রাজস্থান ও মিজোরামে গত বিধানসভা ভোট হেরে গিয়েছিল দল। সূত্রের মতে, বৈঠকে দিনভর ওই রাজ্যগুলির সাংগঠনিক প্রস্তুতিও আলোচনা হয়।
এ বছরের ডিসেম্বর মাস থেকে আগামী এক বছর জি-২০-র প্রায় দু’শোটি সম্মেলন আয়োজিত হতে চলেছে ভারতের ৫৫টি শহরে। সূত্রের মতে, আজ মোদী বলেন ভারতের মতো দেশের জন্য জি-২০ সম্মেলন আয়োজন করা কৃতিত্বের বিষয়। তাই সম্মেলনকে কেন্দ্র করে এমন ভাবে প্রচারে নামতে হবে যাতে প্রতিটি ভারতবাসী এ নিয়ে এ জন্য গর্ববোধ করতে পারেন।