জনতার কলম ওয়েবডেস্ক :- সুপ্রিম কোর্টের রায়ে বড় জয় পেল কেন্দ্রীয় সরকার। হিমাচল প্রদেশ ও গুজরাট নির্বাচনের আগে বড় অস্ত্র হাতে পেল বিজেপি। শিক্ষা এবং সরকারি চাকরিতে আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া শ্রেণির জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণের সংবিধান সংশোধনীকে বৈধ আখ্যা দিল সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের ৫ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চে ৩:২ সংখ্যাগরিষ্ঠতার নিরিখে ১০৩ তম সংবিধান সংশোধনীকে বৈধ ঘোষণা করল। গত সেপ্টেম্বর মাসে শুনানি শেষ হওয়ার পর রায় ঘোষণা স্থগিত রেখেছিল সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চ৷ শেষ পর্যন্ত আজ এই ঐতিহাসিক রায়ে ঘোষণা করল৷ সাংবিধানিক বেঞ্চের পাঁচ জনের মধ্যে তিন জন বিচারপতি মনে করছেন, এই ১০৩ তম সংশোধন সংবিধানের মূল ভাবনার পরিপন্থী নয়৷ ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের ঠিক আগে এই সংশোধন নিয়ে এসেছিল কেন্দ্রীয় সরকার৷ মধ্যপ্রদেশ, ছত্তীসগড় এবং রাজস্থানে বিজেপি-র পরাজয়ের পরেই আর্থিক ভাবে অনগ্রসরদের সংরক্ষণের সিদ্ধান্ত কার্যকর করেছিল সরকার৷ মোদি সরকার এই সংশোধনী নিয়ে আসার পর পরই সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের হয়৷ ফলে, সুপ্রিম কোর্টের এই রায় কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে বড় জয়৷ বিশেষত, হিমাচল প্রদেশ এবং গুজরাত নির্বাচনের আগে সুপ্রিম কোর্টের এই রায় বিজেপি-র প্রচারে বড় অস্ত্র হয়ে উঠবে, তা নিঃসংকোচে বলে দেওয়া যায়৷সুপ্রিম কোর্টে প্রধান বিচারপতি ইউ ইউ ললিতের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ এ দিন এই রায় ঘোষণা করে৷ প্রধান বিচারপতি ছাড়াও এই সাংবিধানিক বেঞ্চে ছিলেন বিচারপতি দীনেশ মাহেশ্বরী, বিচারপতি এস রবীন্দ্র ভাট, বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদী এবং বিচারপতি জে বি পর্দিওয়ালা৷ পাঁচ বিচারপতির মধ্যে বিচারপতি মহেশ্বরী, বিচারপতি ত্রিবেদী এবং বিচারপতি পর্দিওয়ালা সংরক্ষণের পক্ষে রায় দেন৷ অন্যদিকে প্রধান বিচারপতি ইউ ইউ ললিত এবং বিচারপতি রবীন্দ্র ভাট এই সংরক্ষণের বিপক্ষে মত দেন৷ যদিও সংখ্যাগরিষ্ঠতার নিরিখে সবুজ সঙ্কেত পায় কেন্দ্রের সংরক্ষণের সিদ্ধান্ত৷ ফলে এই সংরক্ষণের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া যাবতীয় আবেদন খারিজ হয়ে গেল৷