জনতার কলম ওয়েবডেস্ক :- কংগ্রেসের নতুন সভাপতি হলেন মল্লিকার্জুন খাড়গে । আরও এক প্রতিদ্বন্দ্বী শশী থারুরকে পরাজিত করে নয়া দায়িত্বভার পেলেন তিনি। বুধবার সকাল ১০টা থেকে শুরু হয় কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচনের ভোটগণনা। মল্লিকার্জুন খাড়গে যে ভোটে জিতে সভাপতি হচ্ছেন, সে বিষয়ে কংগ্রেস নেতারা নিশ্চিত ছিলেনই। মল্লিকার্জুন পেয়েছেন ৭৮৯২টি ভোট। অন্যদিকে শশী পেয়েছেন মাত্র ১০৭২টি ভোট। ৬ হাজার ৮২০ ভোটের ব্যবধানে জিতলেন খাড়গে। ৪১৬টি ব্যালট বাতিল হয়েছে। বরাবরই গান্ধী পরিবার ঘনিষ্ঠ মল্লিকার্জুন খাড়গে। ফলে দু’দশক পর অ-গান্ধী সভাপতি কংগ্রেস পেলেও তা কিন্তু আদতেই গান্ধী দখলেই থাকল। নির্বাচনের ফল প্রকাশ হওয়ার আগেই শশী থারুর টুইট করে লেখেন, “জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতি হওয়া অত্যন্ত গর্বের ও দায়িত্বের। আমি মল্লিকার্জুন খাড়গেকে এই দায়িত্ব প্রাপ্তির জন্য শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। এক হাজারেরও বেশি সদস্যের সমর্থন পাওয়াও অনেক বড় সাফল্য।” তবে গণনার প্রথম থেকেই শশী থারুরের দলের তরফে কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ করা হল। দলের নির্বাচনী সংস্থাকে চিঠি লিখেছেন তাঁরা। বেনিয়মের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে খাড়গে এবং তাঁর শিবির। তাঁদের দাবি, সম্পূর্ণ গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতেই নির্বাচন হয়েছে৷ উল্লেখ্য, ১৩০ বছরের দীর্ঘ ইতিহাসে কংগ্রেসে আজও পর্যন্ত ৪১ জন সভাপতি হয়েছেন। মল্লিকার্জুন খাড়গে তাদের মধ্যে দ্বিতীয় দলিত হিসেবে দলের সর্বোচ্চ পদে আসীন হলেন আজ। এর আগে ২০০০ সালে শেষবার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল কংগ্রেস সভাপতি পদের জন্য। সেবার জগজীবন রামকে হারিয়ে সভাপতি হয়েছিলেন সনিয়া গান্ধী। প্রথম থেকেই জানা ছিল কোনদিকে ঝুঁকে দল। হলও তাই। খাড়গের নামের পাশে বসে গিয়েছিল ‘গান্ধী পরিবারের প্রার্থীর তকমা। সোনিয়া গান্ধী অবশ্য শুরু থেকেই বলে আসছিলেন, নির্বাচন প্রক্রিয়ায় তাঁরা নিরপেক্ষ থাকবেন। সেই মতো প্রকাশ্যে গান্ধী পরিবারের সদস্যরা কোনও প্রার্থীর সমর্থনে মুখও খোলেননি। সূত্রের খবর, দলের অন্দরে ক্যাম্পেন হয়েছিল গান্ধী পরিবারের প্রার্থী হিসাবেই। ফলে প্রায় ৮ হাজার ভোটে জিতলেন মল্লিকার্জুন খাড়গে।