জনতার কলম ত্রিপুরা আগরতলা প্রতিনিধি :- ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে মধ্যে যতই সমস্যা থাকুক না কেন তা আলোচনার মাধ্যমে মিটিয়ে নেওয়া হবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ক ভিন্ন মাত্রা পেয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠক শেষে এক যৌথ সাংবাদিক বৈঠকে এই মন্তব্য করলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৈঠকে দুদেশের মধ্যে বেশ কয়েকটি মউ সাক্ষরিত হয়েছে। অন্যান্য বিষয়গুলির মধ্যে রয়েছে অসমের কুশিয়ারা নদীর জলবন্টন চুক্তি। এদিনের বৈঠক শেষে হাসিনা বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্য, নিরাপত্তা, সীমান্ত সমস্যা, জলবন্টন-সহ একাধিক বিষয় নিয়ে কথা হয়েছে। একাত্তরের স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারত যেভাবে আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছিল তার জন্য আমরা কৃতজ্ঞ। ওই লড়াইয়ের পর ভারত ও বাংলাদেশ মৈত্রীর বাতাবরণে বসবাস করছে। আমাদের সম্পর্কে নতুন মাত্রা যোগ করেছে মোদীজির নেতৃত্ব।প্রতিবেশী হিসেবে ভারতের প্রশংসা করতে গিয়ে হাসিনা বলেন, আমি আবার বলতে চাই, বাংলাদেশের কাছে ভারতই হল একমাত্র ঘনিষ্ঠ ও মূল্যবান প্রতিবেশী। দুদেশের সম্পর্ক এখন বৈদেশিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি রোল মডেল। দুদেশের মধ্যে একাধিক ক্ষেত্রে গত কয়েক দশকে অনেক উন্নতি করেছে ভারত ও বাংলাদেশ। পড়ে থাকা বহু সমস্যার সমাধান ইতিমধ্যেই করে ফেলেছে দু’দেশ। তিস্তা জলবন্টন চুক্তিও খুব শীঘ্রই সাক্ষরিত হয়ে যাবে। কুশিয়ারা নদীর জলবন্টন সমস্যা সমাধানের জন্যে প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই। বাকী ৫৪ টি নদীর ক্ষেত্রেও এই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। যতক্ষণ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী রয়েছেন আশাকরি সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়া ভারতীয় সেনাদের জন্য় বড় ঘোষণা করলেন শেখ হাসিনা। একাত্তরে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে যেসব ভারতীয় সেনা শহিদ বা গুরুতর আহত হয়েছিলেন তাদের সন্তান সন্ততিদের মুজিব স্কলারশিপ দেওয়া হবে। বুধবার সেই ঘোষণ করার কথা জানালেন শেখ হাসিনা। বুধবার বাংলাদেশ ও ভারতের বাণিজ্য প্রতিনিধি দলের সঙ্গেও মিলিত হবে শেখ হাসিনা। দুদেশের সমৃদ্ধির জন্য প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে কাজ করার ব্যাপারে সহমত হয়েছে। হাসিনা আরও বলেন ১৯৭৫ সালে যখন আমরা বাবা-মা-ভাইকে হারিয়েছিলাম তখন আমরা দুই বোন এই ভারতেই আশ্রয় পেয়েছিলাম। আমাদের পরিবারের আরও যারা আপনজন হারিয়েছিল তারাও এখানেই আশ্রয় পেয়েছিল। অনেক সমস্যার সমাধান আলোচনা করে সমাধান করেছি। আমাদের সম্পর্ক দক্ষিণ এশিয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে।