জনতার কলম ওয়েবডেস্ক : ‘অগ্নিপথ’ ইস্যুতে আজও উত্তাল দেশের বিভিন্ন প্রান্ত। বিক্ষোভ-অবরোধ লেগেই রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে হাসপাতাল থেকেই বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে আবেদন জানালেন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধী । দলনেত্রীর সেই বিবৃতি ট্যুইটারে শেয়ার করেছেন কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ। বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে সনিয়ার বার্তা, আমি দুঃখিত যে সরকার আপনাদের আওয়াজ অবহেলা করে এমন একটি প্রকল্প ঘোষণা করেছে যেটা সম্পূর্ণ দিকভ্রান্ত। আপনাদের কাছে আমার আবেদন, অহিংস পথে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করুন। কংগ্রেস আপনাদের পাশে আছে।
অগ্নিপথ প্রকল্পের বিরোধিতায় বিহার ছাড়াও উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা, তেলঙ্গানা, দিল্লি-সহ দেশের ১৩টি রাজ্যে হিংসা ছড়িয়েছে। উত্তরপ্রদেশের জৌনপুরে যাত্রী নামিয়ে বাসে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে বিক্ষোভকারীরা। আগুন লাগানো হয় পুলিশের গাড়িতেও। শিকরারা থানা এলাকার লালাবাজারে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভকারীরা। কুশীনগরের পডরোনা স্টেশনে রেল অবরোধ করে তারা। আটকে পড়ে গোমতীনগর-ছাপরা এক্সপ্রেস। দুর্ভোগে যাত্রীরা। বিক্ষোভ-অশান্তির জেরে উত্তরপ্রদেশের ৪ জেলায় ৬টি এফআইআর দায়ের হয়েছে। এ পর্যন্ত ২৬০ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পূর্ব-মধ্য রেল অঞ্চলে ছাত্র বিক্ষোভের জেরে আজ বাতিল করা হয়েছে পূর্ব রেলের বেশ কয়েকটি দূরপাল্লার ট্রেন। বাতিল করা হয়েছে হাওড়া-রাঁচি শতাব্দী এক্সপ্রেস, হাওড়া-ধানবাদ ব্ল্যাক ডায়মন্ড এক্সপ্রেস, হাওড়া-নিউ দিল্লি পূর্বা এক্সপ্রেস, হাওড়া-দ্বারভাঙা এক্সপ্রেস ও হাওড়া-জয়নগর এক্সপ্রেস, আসানসোল-গয়া মেমু এক্সপ্রেস, আসানসোল-বারাণসী মেমু এক্সপ্রেস, কলকাতা-জম্মু তাওয়াই এক্সপ্রেস, হাওড়া-দেরাদুন কুম্ভ এক্সপ্রেস, হাওড়া-পাটনা জনশতাব্দী এক্সপ্রেস ও মালদা টাউন-নিউ দিল্লি এক্সপ্রেস।এই পরিস্থিতিতে কৃষি আইন প্রত্যাহারের প্রসঙ্গ তুলে অগ্নিপথ বিতর্কে মোদি সরকারকে আজ বিঁধতে ছাড়েননি কংগ্রেস নেতা রাহুল গাঁধীও। ৮ বছর ধরে বিজেপি সরকার ‘জয় জওয়ান জয় কিষাণ’-কে অপমান করেছে বলে অভিযোগ জানান তিনি। ট্যুইটারে লেখেন, আমি আগেই বলেছিলাম যে প্রধানমন্ত্রীকে কালো কৃষি আইন প্রত্যাহার করতে হবে। ঠিক একইভাবে বীর ক্ষমাপ্রার্থী হয়ে ওঁকে যুবসম্প্রদায়ের কথা মেনে অগ্নিপথও প্রত্যাহার করতে হবে।অগ্নিপথ-বিতর্কের মধ্যেই এবার অগ্নিবীরদের জন্য চাকরিতে সংরক্ষণের সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের। ট্যুইটে লেখা হয়েছে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক, কেন্দ্রীয় সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী এবং অসম রাইফেলসে অগ্নিবীরদের জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কেন্দ্রীয় সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী এবং অসম রাইফেলসে অগ্নিবীরদের নিয়োগের জন্য বয়সের নির্ধারিত ঊর্ধ্বসীমায় ৩ বছর ছাড় দেওয়ারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। এছাড়াও, অগ্নিবীরদের প্রথম ব্যাচের জন্য বয়সের নির্ধারিত ঊর্ধ্বসীমা ৫ বছরের জন্য শিথিল করা হয়েছে।