জনতার কলম প্রতিনিধিঃ- প্রয়াত বাংলা চলচিত্রের অন্যতম অভিনেতা অভিষেক চট্টোপাধ্যায়। জানা যায় বুধবার রাতে শ্যুটিং চলাকালীন অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। তার পর প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোডের বাড়িতে ফিরে বুকে ব্যথা শুরু হয়। কোনও রকমে খেয়েদেয়ে শুয়ে পড়েন। বৃহস্পতিবার ভোরে বাড়ির লোকজন তাঁকে নিথর অবস্থায় পান। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে সুত্রে জানা গিয়েছে। মৃত্যুকালে ওনার বয়স হয়েছিল ৫৭ বছর। তাছাড়া পরিবারের পক্ষ থেকে জানা যায় কিছুদিন আগেই শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখা দেয় অভিনেতার। সেই অবস্থাতেই শ্যুটিংয়ের কাজ চালিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। বলা চলে অভিনেতার জীবনকালে নব্বইয়ের দশকে বাংলা চলচ্চিত্র জগতের অন্যতম ব্যস্ত অভিনেতা ছিলেন অভিষেক। এক সময় প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, তাপস পালদের সঙ্গে একসারিতে নাম উঠে আসত তাঁর। উৎপল দত্ত, সন্ধ্যা রায়ের মতো প্রতিভাশালী অভিনেতাদের সঙ্গে পর্দায় দেখা গিয়েছে তাঁকে। কাজ করেছেন শতাব্দি রায়, ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর মতো সমসাময়িক প্রথম সারির অভিনেত্রীদের সঙ্গেও। তাছাড়া অভিনেতা শুধু বড় পর্দা নয় ছোট পর্দাতেও তিনি সমানভাবে সাবলীল অভিনয় করে দর্শকদের প্রশংসা পেয়েছেন। তবে একাধিক ছবতে সাফল্য পেলেও, নায়ক থেকে একসময় পার্শ্বনায়কের চরিত্রেই বেশি দেখা যেত অভিষেককে। মাঝে দীর্ঘ সময় টলিউড থেকে অনুপস্থিতও ছিলেন তিনি। সেই নিয়ে কথা বলতে গিয়ে কয়েক বছর আগে আক্ষেপের সুর ধরা পড়ে তাঁর গলায়। প্রথম সারির অভিনেতা হয়েও বঞ্চনার শিকার হতে বলে অভিযোগ করেন। জানান, একের পর এক ছবি থেকে বাদ পড়তে হয়েছিল তাঁকে, তা-ও টলিউডের রাজনীতির জন্য। তা সত্বেও টেলিভিশনে চুটিয়ে অভিনয় করছিলেন অভিষেক। ‘ইচ্ছেনদী’, ‘পিতা’, ‘অপুর সংসা’, ‘অন্দরমহল’, ‘কুসুম দোলা’, ‘ফাগুন বউ’, ‘খড়কুটো’র মতো সিরিয়ালে তাঁর অভিনয় মন জিতে নিয়েছিল দর্শকের। অভিনেতার আচমকা মৃত্যুর খবরে শোকস্তব্ধ বাংলার বিনোদন জগৎ।