জনতার কলম প্রতিনিধিঃ- দুর্ঘটনাবশত পাকিস্তানে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া নিয়ে মঙ্গলবার রাজ্যসভায় বিবৃতি দিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ । এদিন তিনি বলেন, ‘ পর্যবেক্ষণের সময় দুর্ঘটনাবশত ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া সংক্রান্ত। সেদিন সন্ধে সাতটা নাগাদ রুটিনমাফিক পর্যবেক্ষণ ও রক্ষণাবেক্ষণের সময় একটি ক্ষেপণাস্ত্র দুর্ঘটনাবশত পাকিস্তানের দিকে চলে যায়। সেই ক্ষেপণাস্ত্রটি পাকিস্তানের ভূখণ্ডে গিয়ে পড়ে। এই ঘটনা দুঃখজনক। তবে কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।’ প্রতিরক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমি সদনকে জানাতে চাই, সরকার এই বিষয়টিকে অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে দেখছে। সরকারিভাবে উচ্চপর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তদন্ত শেষ হওয়ার পরেই এই ঘটনার প্রকৃত কারণ জানা যাবে। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর অফ অপারেশন, ক্ষেপণাস্ত্র রক্ষণাবেক্ষণ ও পর্যবেক্ষণের বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হয়েছে। আমরা আমাদের অস্ত্রসম্ভারের সুরক্ষা ও নিরাপত্তার উপর সর্বাধিক জোর দিচ্ছি। যদি এক্ষেত্রে কোনও খামতি দেখা যায়, তাহলে তৎক্ষণাৎ সংশোধন করা হবে। আমি সদনকে আশ্বাস দিতে চাই, আমাদের ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা অত্যন্ত ভরসাযোগ্য ও সুরক্ষিত। আমাদের সুরক্ষা সংক্রান্ত ব্যবস্থাপনা ও প্রোটোকল উচ্চমানের।’ ৯ মার্চ এই ঘটনার পরেই পাকিস্তানের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, ক্ষেপণাস্ত্রটি তাদের আকাশসীমায় ১০০ কিলোমিটারের বেশি ঢুকে আসে। শব্দের তিনগুণ গতি নিয়ে ৪০,০০০ ফুট উচ্চতায় উড়ে শেষে মাটিতে আছড়ে পড়ে এই ক্ষেপণাস্ত্র। তবে ক্ষেপণাস্ত্রটিতে কোনও ওয়ারহেড না থাকায় বিস্ফোরণ ঘটেনি।পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রক এই ঘটনার জন্য ইতিমধ্যেই ইসলামাবাদে নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছে। ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র পাকিস্তানের আকাশসীমা লঙ্ঘন করার ঘটনার প্রতিবাদ করেছে ইসলামাবাদ। পাকিস্তান এই ঘটনার তদন্তের দাবি জানিয়েছে। পাক বিদেশমন্ত্রকের দাবি, এই ঘটনায় যাত্রীবাহী বিমান ছাড়াও নাগরিকদের জীবন বিপন্ন হতে পারত। ভবিষ্যতে এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি এড়াতে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে নয়াদিল্লিকে।