Site icon janatar kalam

দিল্লিতে ভারী বৃষ্টিতে ফুলে উঠল যমুনা, বিপদসীমার ওপরে জলস্তর

জনতার কলম ওয়েবডেস্ক :- দিল্লিতে যমুনা নদীর জলস্তর বুধবার সকালে বিপদসীমা অতিক্রম করেছে। বিপদসীমা ২০৫.৩৩ মিটার হলেও এদিন সকালে তা ছুঁয়ে যায়। ফলে নিম্নাঞ্চল থেকে বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরানো শুরু করেছে প্রশাসন। জানা গেছে, জলস্তর ২০৬ মিটারে পৌঁছালে আনুষ্ঠানিকভাবে সরানো শুরু হয়। গত কয়েকদিনের টানা ভারী বৃষ্টির জেরে নদীর জলফুলে উঠেছে। পরিস্থিতি বিবেচনা করে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসকারী বহু মানুষকে আপাতত নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

ভারতীয় আবহাওয়া দপ্তরের (IMD) পূর্বাভাস অনুযায়ী, বুধবার দিল্লির আকাশ “সাধারণত মেঘলা থাকবে এবং মাঝারি বৃষ্টি” হতে পারে। বৃহস্পতিবার “বজ্রসহ বৃষ্টি”, ৫ সেপ্টেম্বর আবারও “সাধারণত মেঘলা আকাশে মাঝারি বৃষ্টি”, ৬ সেপ্টেম্বর “বজ্রসহ বৃষ্টি” এবং ৭ ও ৮ সেপ্টেম্বর “সাধারণত মেঘলা আকাশ” থাকবে বলে জানানো হয়েছে।

এদিকে, যমুনা বাজারে জলস্তর বাড়তে থাকায় মানুষ কোমরসমান জলে হেঁটে নিরাপদ স্থানে যাচ্ছেন। সিভিল লাইনস এলাকার মনাস্ট্রি মার্কেটের দোকানদাররা বন্যার আশঙ্কায় আগেভাগেই পণ্য সরানো শুরু করেছেন। স্থানীয় দোকানদার দীপক রাস্তোগি বলেন, “নিম্নাঞ্চলের সব দোকানই পণ্য সরাতে শুরু করেছে। আমার এখানে তিনটি দোকান আছে, জল ঢুকবেই। প্রশাসন আমাদের সতর্ক থাকতে বলেছে। জানিয়েছে যে জল জমে ২-৩ দিন থাকতে পারে।”

মঙ্গলবার বুরারিতে কৃষকদের সরাতে উদ্ধারকাজ চালায় এনডিআরএফ। মজনু কা টিলাতেও ভারী বৃষ্টির পর নদীর জলস্তর দ্রুত বেড়ে যায়। নদীর জল বিপদসীমা ছাড়ানোর পর বিকেল ৫টা থেকে লোহা পুল এলাকায় যান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন।

দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তা মঙ্গলবার লোহা পুল পরিদর্শন করেন। তিনি আশ্বস্ত করে বলেন, “পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে আরও ভালো ব্যবস্থাও করা হবে। থাকার জায়গার ব্যবস্থা রয়েছে এবং নদীর জল আপাতত চরাঞ্চলের মধ্যেই রয়েছে। মানুষকে কোনো অসুবিধায় পড়তে দেব না। হাথনিকুণ্ড ব্যারেজ থেকে ছাড়ানো জল সন্ধ্যায় দিল্লিতে পৌঁছালেও যথেষ্ট প্রস্তুতি নেওয়া আছে। আমি জম্মু-কাশ্মীর, হিমাচল প্রদেশ, পাঞ্জাব, উত্তরাখণ্ড এবং হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গেও কথা বলেছি। সবাই মিলে আমরা এই পরিস্থিতির মোকাবিলা করব।”

Exit mobile version